কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : আধুনিক নাট্য জগতের অকৃত্রিম যোদ্ধা পথ নাট্য আন্দোলনে অন্যতম পুরোধা প্রয়াত জিন্নাহ হক স্মরণে দুইদিন ব্যাপী ১৬তম নাট্য উৎসব শুরু হয়েছে। আজ রবিবার এক বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ মানবাধিকার নাট্য পরিষদের উদ্যেগে বিকেল সাড়ে ৫টায় এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্যদিয়ে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমীতে শুরু হয়েছে।

বাংলাদেশ মানবাধিকার নাট্য পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এমএ কাইয়ুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উৎসবের উদ্ভোধন করেন বিশিষ্ট অভিনেত্রী ও নাট্য সংগঠক প্রয়াত জিন্নাহ হক’র সহধর্মিনী নূরী হক।

এর আগে বিকেল সাড়ে ৪টায় জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত নাট্য কর্মীদের নিয়ে কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরী মাঠ হতে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে শিল্প কলা একাডেমীতে শেষ হয়।

নাট্যেৎসবের উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন, কুষ্টিয়ার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যত্তিত্ব এ্যাড. লালিম হক, জেলা শিল্প কলা একাডেমী’র সাধারণ সস্পাদক আমিরুল ইসলাম, কুষ্টিয়া মহিলা মানবাধিকার নেত্রী বিশিষ্ট চিকিৎসক সমাজসেবী ডা. আসমা জাহান লিজা, আব্দুল মতিন ও মানবাধিকার কর্মী সাংবাদিক হাসান আলী। এসময় বক্তারা বলেন, নাটক সমাজ বদলের হাতিয়ার, সমাজের পিছিয়ে থাকা, কুসংস্কারাচ্ছন্ন, অন্ধকারে থাকা জনগোষ্ঠীকে সচেতন করে আত্মসম্মান ও মর্যাদাপূর্ণ অধিকার প্রতিষ্ঠায় জাগরিত করে তোলার মূলমন্ত্র হিসেবে সমাজ বিকাশের ধারাবাহিকতায় গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা ও অবদান রেখে চলেছে। যুগে যুগে মানব সমাজের বিভিন্ন সংকটময় পরিস্থিতিতে সর্বস্তরের জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে মুক্তির পথ বিনির্মানে শিল্প, সাহিত্য, কৃষ্ঠি-সংস্কৃতি সমৃদ্ধ নাট্যে আন্দোলনের ভূমিকা অপরিসীম।

সে কারণে আজও পর্যন্ত সাংস্কৃতিক আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ শাখা নাটকের অপরিহার্যতা উত্তরোত্তর তার জায়গা দখল করে আছে। আজকের এই নাট্যোৎসবের মধ্যদিয়ে আগামী দিনের সামাজিক অবক্ষয় রোধ করে অন্ধকারাচ্ছন্ন মানবাত্মাকে আলোকিত করে তুলুক এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন বক্তারা। আলোচনা শেষে উদ্বোধনী সংগীত ও উৎসবের মূল আকর্ষণ নাট্যাভিনয় পরিবেশন করে সংগঠনের বিভিন্ন শাখা ইউনিটের কর্মীরা। অংশগ্রহণকারী দল গুলো, মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা, ফেয়ার সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী, কুষ্টিয়া বিদ্যালয় নাট্যদল, নৃত্য রং একাডেমী।

(কেকে/এএস/ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪)