পুরানো শীতবস্ত্রই অসহায়দের একমাত্র ভরসা
আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : গত ২৬ ডিসেম্বর থেকে বয়ে যাওয়া শৈত্য প্রবাহে শীতের তীব্রতা ও কনকনে ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার গ্রামাঞ্চলের খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। ডিসেম্বরের শুরুতেই জেঁকে বসেছে শীত। প্রয়োজনীয় গরম কাপড় না থাকায় নিম্ন আয়ের মানুষেরা শীতের তীব্রতায় অমানবিক জীবন যাপন করছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শচীন্দ্র নাথ বৈদ্য জানান, ত্রাণ শাখায় তার দপ্তরে ৫শ ৮৬ পিচ কম্বল এসেছে। ওই কম্বলের মধ্যে পাঁচটি ইউনিয়নে ৩৮০ পিছ বন্টনের জন্য দেয়া হয়েছে। বাকী কম্বলের মধ্যে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ৫০ পিচ, ইউএনও ৩১ পিচ, দু’জন ভাইস চেয়ারম্যান ৫০ পিচ ও সংরক্ষিত কোটায় ৭৫ পিচ কম্বল রয়েছে। ওই কম্বল এখন পর্যন্ত বিতরণের খবর জানা যায়নি।
সাধ আর সাধ্যর সমন্বয় না থাকায় নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন শীতের প্রকোপ থেকে বাচতে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন হাট বাজারের রাস্তার পাশে পুরোনো শীতবস্ত্রের দোকানে গরম কাপড় কিনতে ভির করতে দেখা গেছে। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত এসকল দোকানে নিম্ন আয়ের মানুষ থেকে শুরু করে মধ্যবিত্ত ও চাকুরীজীবিরাও কেনা কাটা করছে। প্রচন্ড ঠান্ডায় দরিদ্র ও নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগের পাশাপাশি বিভিন্ন ঠান্ডাজনিত অসুখ দেখা দিয়েছে। বিশেষত শিশু ও বয়োবৃদ্ধরাই বেশী শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সন্ধ্যা ও শেষ রাতে শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে সহায় সম্বলহীন ছিন্নমুল লোকজনকে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করতে দেখা যায়।
উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে গার্মেন্টসের দোকানে দেখা গেছে চড়াদামে শীতবস্ত্র বিক্রি হতে। গার্মেন্ট দোকানের চেয়ে বিভিন্ন হাট বাজারে গিয়ে দেখা গেছে পুরানো শীতবস্ত্র ব্যবসায়ীরা তুলনামূলক কম মূল্যে শীতবস্ত্র বিক্রি করছে। শীতার্তদের জন্য এপর্যন্ত সরকারীভাবে কিছু কম্বল বরাদ্দ এলেও তা যেমন বিতরণ হয়নি তেমনি চাহিদার তুলনায় তা খুবই সামান্য।
(টিবি/এএস/ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪)