কালিয়া (নড়াইল) প্রতিনিধি : গত দেড় বছরেও মুক্তিযোদ্ধার পরিবারকে দেয়া জেলা প্রশাসকের প্রতিশ্রুতি পুরন হয়নি।সরকারে দেয়া জমির দলিল যেমন বুঝে পায়নি,তেমন অবৈধ দখলদারদের চাপে হিমসিম খাচ্ছে তারা বলে অভিযোগ রয়েছে। নড়াইলের কালিয়ার এক বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম ময়েন উদ্দিন। ভূমিহীন ওই মুক্তিযোদ্ধা গত ২০১৩ সালের ১০ জুন মৃত্যুবরন করেন। স্থানীয় প্রশাসনকে জানানোর পরও তাকে পরদিন ১১ জুন বিকালে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়া দাফন করা হলে তা নিয়ে সৃষ্টি হয় তোলপাড়। ঝড় ওঠে প্রতিবাদের। ঘটনাটি সংবাদ মাধ্যম গুলোতে প্রকাশিত হলে শুরু হয় জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের দৌড়ঝাপ। এবং পরবর্তীতে হাই কোর্টের নির্দেশে ৮ দিন পর জেলা ও উপজেলা প্রশাসন তার কবরে মরনোত্তর রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদান করে।

ওই মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী মরিয়ম বেগম জানান,ওই সময় জেলা প্রশাসক সহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা তার নলামারা গ্রামের বাড়িতে ছুটে গেলে জানতে পারেন ভূমিহীন ওই মুক্তিযোদ্ধা ডুমুরিয়া রামনগর মৌজার খাস খতিয়ানের ৫৮৬৯ ও ৫৮৭০ দাগের ১ একর ৫০ শতক জমি ডিসিআর নিয়ে বাস করেন। তাও আবার দখল করে রেখেছে স্থানীয় প্রভাবশালী মফিজ মোল্যা, জিন্নু মোল্যা, মোতালেব মোল্যা ও মান্নান মোল্যা। ওই সময়ে জেলা প্রশাসক ময়েন উদ্দিনের নামে দেয়া ১ একর ৫০ শতক জমির অবৈধ দখলদার উচ্ছেদসহ তাদেরকে ওই জমি স্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। ওই জমির সীমানাও নির্দ্ধারন করা হয়। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই রহস্যজনক কারণে প্রশাসনের সে তৎপরতা বন্ধ হয়ে যায় বলে মুক্তিযোদ্ধা ময়েন উদ্দিনের স্ত্রী অভিযোগ। তিনি আরও বলেন দেড় বছরেও জেলা প্রশাসকের দেয়া প্রতিশ্রুতি পূরন হয়নি।

অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ তো দুরের কথা ইউএনও তার কাগজপত্র বুঝে নেয়াসহ সই স্বাক্ষর করিয়ে নিলেও এখন পর্যন্ত ওই জমির বন্দোবস্ত দলিল ও জমির দখল বুঝে পায়নি ময়েন উদ্দিনের পরিবার।উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মো. তরিকুল আলম মুন্নু বলেছেন,বিষয়টিতে তিনি বিস্তারিত কিছু জানেন না। তিনি খোজ খবর নেবেন। ইউএনও মো. শাহীন হোসেন বলেছেন, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। অবৈধ দখলদার উচ্ছেধ সহ দ্রুত সকল ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(এমএইচএম/এএস/ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪)