কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : থার্টি ফাষ্ট নাইট উপলক্ষে পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় যখন হাজার হাজার দেশী-বিদেশী পর্যটকদের উপচেপড়া ভীড় ঠিক সেই মুহুর্তে কুয়াকাটার সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সওজ কর্তৃপক্ষ।

সোমবার বেলা ১১ টা থেকে কলাপাড়া-কুয়াকাটা মহাসড়কের আন্ধারমানিক নদীর ফেরিটি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে মেরামত শুরু করায় বিপাকে পড়ে কুয়াকাটায় ভ্রমনে আসাপর্যটকরা।

শতশত পর্যটক খেপুপাড়া ফেরিঘাটে এসে ফেরি চলাচল বন্ধ দেখে আবার তাদের বাস, মাইক্রোবাস নিয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে।

অনেক পর্যটক খেপুপাড়া ফেরিঘাটে গাড়ি রেখে খেয়া পার হয়ে বিকল্প যানে করে কুয়াকাটা গেলেও সবচেয়ে বিপাকে পড়ে গত ২/৩ দিন আগে কুয়াকাটায় প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস ও বাস নিয়ে ভ্রমনে আসা পর্যটকরা।

কলাপাড়া সওজ অফিস সূত্রে জানাযায়, কুয়াকাটাগামী খেপুপাড়া ফেরিটি মেরামতের জন্য ২৯ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত ফেরি চলাচল বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু এ ফেরি চলাচল বন্ধে সংক্রাস্ত কোন বিজ্ঞাপন পত্রিকায় না দেয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা কুয়াকাটা এসে এ দূর্ভোগে পড়ে। কুয়াকাটায় ভ্রমনে আসা বরগুনার সাইফ-চম্পা দম্পতি, খুলনার মোরসালিন, সাব্বির ও মেীসুমী জানান, তারা কুয়াকাটায় গাড়ি নিয়ে এসে এখন দেখেন ফেরি বন্ধ। তাই বাধ্যহয়ে ফিরে যেতে হচ্ছে।

এদিকে কুয়াকাটা ভ্রমন শেষে শতশত পর্যটক সোমবার সকালে এসে দেখেন ফেরি বন্ধ। তাই তাদের গাড়ি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। এভাবে কুয়াকাটায় এসে ও গিয়ে বিপাকে পড়েছে হাজার হাজার পর্যটক।

এদিকে কুয়াকাটার একাধিক হোটেল ব্যবসায়ী জানান, সওজ কর্তৃপক্ষের এ সিদ্ধান্তের কারনে পর্যটকরা এখন দূর্ভোগ পোহাচ্ছে। তারা বিকল্প ফেরির ব্যবস্থা না করেই ফেরি চলাচল বন্ধ করেছেন এই পর্যটন মেীসুমে। তাছাড়া তারা রাতে ফেরি মেরামত করলে এ দূর্ভোগে পড়তো না পর্যটকরা।

এ ব্যাপারে পটুয়াখালী সওজ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলামের সাথে এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। তবে সওজের একটি সূত্র জানান, আগামী ২/৩ দিনের মধ্যে অনেক পর্যটক আসবে কুয়াকাটায়। তাই তখন যাতে সমস্যা না হয় এ জন্য ফেরি মেরামতের উদ্যেগ নেয়া হয়েছে।

(এমএকআর/এটিআর/ডিসেম্বর ২৯, ২০১৪)