সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : দেড় বছরের সন্তানকে হত্যা করে কোমরে কাপড়ের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে মা আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে সাতক্ষীরা জেলার আশাশুনি উপজেলার উত্তর একসরা গ্রাম থেকে পুলিশ দুটি মৃতদেহ উদ্ধার করেছে।

মৃতদের নাম পারভিন খাতুন (২৪)। তিনি আশাশুনি উপজেলার উত্তর একসরা গ্রামের বেল্লাল গাজীর স্ত্রী। তাদের মৃত সন্তানের নাম রুপা খাতুন(দেড় বছর)।

আনুলিয়া ইউপির সদস্য মোঃ নুরুজ্জামান জানান, প্রথম স্ত্রী জহিরুন্নেছার কথা গোপন রেখে উত্তর একসরা গ্রামের দীন আলী গাজীর ছেলে বেলাল গাজী খুলনা জেলার দাকোপ থানাধীন নলিয়ান গ্রামের পরভিন খাতুনকে চার বছর আগে বিয়ে করে। বিয়ের এক বছর পর থেকে প্রথম স্ত্রী জহিরুন্নেছার সঙ্গে পারভিনের বিরোধ চরমে ওঠে। বেলাল সাতক্ষীরায় অধিকাংশ সময় কাটাতো। ফলে পারভিনের দিন কাটতো অনাহারে অর্ধাহারে।

ইউপি সদস্য আরো জানান, বাচ্চার জন্য দুধ কেনার টাকা চাওয়ায় সোমবার বিকেলে বেলাল তার দ্বিতীয় স্ত্রী পারভিনকে মারিপট করে সাতক্ষীরায় চলে আসে।মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে পুলিশ বসতঘর থেকে পারভিনের গলায় দড়ি দিয়ে ঝোলানো লাশ উদ্ধার করে। এ সময় পারভিনের কোমরে কাপড় দিয়ে বাঁধা শিশু রুপার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ধারনা করা হচ্ছে রুপাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ নিজের কোমরে বেঁধে পারভিন আত্মহত্যা করেছে।

এ ব্যাপারে বেলাল গাজীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, তিনি মোবাইলে খবর পেয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছেন।

এ ব্যাপারে আমাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আহসান হাবিব জানান, লাশের ময়না তদন্ত ছাড়া মৃত্যুর কারণ এই মুহুর্তে বলা সম্ভব হবে না। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।

(আরকে/জেএ/মে ০৬, ২০১৪)