ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ জেলা শহরে ৩টি সরকারী বিদ্যালয়ে ভর্তি যুদ্ধে স্বস্ব বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের কোচিং করানো ছাত্র/ছাত্রীরাই বেশি ভাগ কৃতকার্য হয়েছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। এই ভর্তি যুদ্ধ নিয়ে স্থানীয় একটি দৈনিকে প্রকাশিত সাংবাদে বলা হয়েছিল স্বস্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা লাখ টাকা ভর্তি জন্য ডাক হেকেছিলেন।

ময়মনসিংহ জেলা শহরে ৩টি সরকারী স্কুল যথাক্রমে জিলা স্কুল, বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ও ল্যাবটরী সরকারি বালক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। এ সকল বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা সরকারি পরিপত্র ও বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে ব্যাপক কোচিং বানিজ্য শুরু করেন বছরের শুরু থেকেই। সরকারি বিধি মোতাবেক বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ স্বস্ব স্কুলের দুর্বল ছাত্র/ছাত্রীদের ১০ জনকে কোচিং করাতে পারবে মর্মে প্রজ্ঞাপন জারি থাকলেও এক এক জন শিক্ষক ২/৩'শ ছাত্র/ছাত্রীকে বিভিন্ন শিফটে কোচিং বানিজ্য করেছেন। এখানে উল্লেখ্য করা যেতে পারে বিদ্যাময়ী সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষক মুঞ্জুরুল হক বিদ্যালয়ের সামনে কানাডা স্কয়ার সংলগ্ন একটি ফ্লাট বাসা ভাড়া নিয়ে ৩ শিফটে ৩১৯জন ছাত্রীকে ভর্তি কোচিং করেয়েছেন। বছর ব্যাপি এই কোচিংয়ের এ ৪০ জন ছাত্রী আবেদন করেন মুঞ্জুরুল স্যার নিজেই বলেন সূত্র জানিয়েছে। তারা একই কক্ষে সিট পরে তেমনি ৩৮ জন ভর্তি যুদ্ধে কৃতকার্য হয়। এই রহস্য জনক কারণটি অজ্ঞাতই রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে প্রতি ছাত্রীর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা করে উৎকোচ গ্রহণ করেছেন। এ নিয়ে শহরে ব্যাপক গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এ ব্যাপারে মুঞ্জুরুল স্যারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান তার কোচিংএ ৩ শিফটে ৩শতাধিক ছাত্রী কোচিং করত। কোচিংটি তার এক আত্মীয় পরিচালনা করেন। তিনি ৩ শিফটে ৩ টি ক্লাস নিতেন।

ময়মনসিংহ শহরে তিনি সবচেয়ে বেশী সমালোচিত হয়েছেন। বিদ্যালয়ের একটি সূত্র জানান তাকে পরীক্ষায় ছাত্রীদের আসন দেখিয়ে দেয়ার দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। অভিযোগ রয়েছে সুযোগ পেয়েই তিনি তার ভর্তির চুক্তিবদ্ধ ছাত্রীদের রুমে চলেযেতেন। অবৈধ ভাবে কোচিং বানিজ্য করায় ইতি পূর্বে তাকে বদলি করা হয়েছিল।

(বিএ/পি/ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪)