কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : হরতালে থেমে গেছে কুয়াকাটার থার্টিফাষ্ট নাইট উদযাপন উৎসব। গত এক সপ্তাহে অন্তত দুই লক্ষাধিক পর্যটক কুয়াকাটায় ভ্রমনে আসলেও বুধবার কুয়াকাটায় পর্যটক নেই বললেই চলে। থার্টিফাষ্ট নাইট উপলক্ষে আগাম বুকিং থাকলেও দুইদিনের হরতালে কুয়াকাটার ৫২টি হোটেলে বুকিং বাতিল করেছে পর্যটকরা। এতে শুধু হোটেল মালিকরাই দুইদিনে অর্ধকোটি টাকা লোকসানের কবলে পড়েছে।  তবে হরতালের কারনে কুয়াকাটায় পর্যটকরা ভ্রমনে না আসলেও গত দুই/তিনদিন আগে কুয়াকাটায় আসা পর্যটকদের বিনোদনের জন্য স্থানীয়ভাবে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।

সরেজমিনে বুধবার কুয়াকাটা ঘুরে দেখা যায়, কুয়াকাটার সব হোটেল-মোটেল ও ডাকবাংলো পর্যটক শূন্য। আজ নতুন করে কোন হোটেলেই বুকিং নেই। খাবার হোটেল,রেস্তোরা খোলা থাকলেও নেই পর্যটক। একই অবস্থা টুরিষ্ট ভ্রমন স্পট কুয়াকাটার ঝাউবাগান, ইকোপার্ক, রাখাইনপল্লী, ও গঙ্গামতি সৈকত। সব জায়গায়ই নিরবতা। কোথাও নেই পর্যটকদের চাঞ্চল্য। এছাড়া বুধবার ভোর রাত থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারণে প্রচন্ড ঠান্ডায় যে পর্যটকরা এখনও কুয়াকাটায় আছে তারাও হোটেল বন্দী।


কুয়াকাটার হোটেল বীচ হ্যাভেন’র ম্যানেজার বায়েজিদ মল্লিক জানান, হরতালের কারনে সব বুবিং বাতিল হয়েছে। কিছু রুম বুকিং আছে যারা হরতালের কারনে যেতে পারছে না। দুইদিনে অন্তত তার ৬০/৬৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। হোটেল নীলাঞ্জনা’র ম্যানেজার সৈয়দ মোস্তফা হাবিব জানান, থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষে অধিকাংশ রুম বুকিং থাকলেও এখন তা হরতালের কারনে বাতিল হয়ে গেছে। এতে অন্তত ৬০ হাজার টাকা তার ক্ষতি হয়েছে। একই অবস্থা অন্য হোটেল-মোটেল ও ডাকাবাংলোর।

কুয়াকাটায় ভ্রমনে আসা মংলার দীপা-সোহরাব দম্পতি জানান, তারা মঙ্গলবার রাতে কুয়াকাটা এসেছেন বছরের শেষদিন উপভোগ করার জন্য। কিন্তু মেঘলা আবহাওয়া ও পর্যটকদের সমাগম না থাকায় কেমন যেন শূন্য শূন্য লাগছে। ঢাকার মিরপুর থেকে আসা সুরভী,আনিকা, জয়,আফজাল জানায়, তারা বন্ধুরা এসেছেন। কিন্তু পর্যটক না থাকায় এখন ভালো লাগছে না।


কুয়াকাটা থার্টিফাষ্ট উদযাপন কমিটির আহবায়ক সাংবাদিক রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, হরতালের কারণে পর্যটক কম হলেও প্রতিবছরের মতো কুয়াকাটা প্রেসক্লাব মাঠে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল ওনার্স এসোসিয়েশন’র সাধারন সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, হরতালে কুয়াকাটার ৫২টি হোটেলের মালিকরাই ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। তার নিজের হোটেল কুয়াকাটা গেষ্ট হাউস এ অন্তত ৫০ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে।

কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই সঞ্জয় মন্ডল জানান, হরতালের কারনে কুয়াকাটায় এবার পর্যটকদের আগমন কম। তবে পর্যটকদের নিরাপত্তা এবং অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রশাসন সচেষ্ট আছেন বলে জানান।

(এমকেআর/এএস/ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪)