নাটোর প্রতিনিধি : যুদ্ধাপরাধের দায়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতা আজহারের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে দলটির ডাকা হরতালে নাটোরে জনজীবনে তেমন কোন প্রভাব পড়েনি। জেলার কোথাও কোন গোলযোগের খবরও পাওয়া যায়নি। হরতালের প্রথমদিন বুধবার সকাল থেকে রাস্তায় দুর পাল্লার বাস চলাচল করতে দেখা না গেলেও হিউম্যান হলার, সিএনজি অটোরিকশা ও রিকশায় করে কর্মস্থলে ছুটতে দেখা গেছে সাধারণ মানুষকে। যথানিয়মে ট্রেন চলাচল করেছে। ব্যাংক,বীমা, আদালতসহ সরকারী বেসরকারী সকল প্রতিষ্ঠানেও স্বাভাবিক ছিল কার্যক্রম।

সকালের দিকে দোকানপাট বন্ধ থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে শহরের দোকানপাঠ খুলতে শুরু করে। উপজেলা সড়কগুলোতে যান চলাচল স্বাভাবিক ছিল। হরতালে নাশকতা রোধে শহরের বিভিন্ন মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যের পাশাপাশি বিজিবি মোতায়েন করা হয়। হরতালের পক্ষে বিপক্ষে কোন মিছিল বা পিকেটিং করতে দেখা যায়নি। তবে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনের পুর্ব নির্ধারিত দিন থাকায় গোটা শহরে ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের পদচারনা ছিল চোখে পড়ার মত। অন্যান্য উপজেলা থেকে ছাত্রলীগ কর্মী সমর্থকরা রিজার্ভ বাস নিয়ে নাটোরে এস সম্মেলনে যোগদান করে। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে শহরে ছাত্রলীগের বনার্ঢ্য শোভাযাত্রা বের হলে শহরবাসীকে অন্তত আধা ঘন্টা যানজটের কবলে পড়তে হয়। জামায়াতের ডাকা দু’দিনের হরতালের প্রথমদিনে জেলার অন্য উপজেলাগুলো কোন সাড়া মেলেনি। জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে বুধবার এবং নতুন বছরের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত হরতাল ডেকেছে জামায়াতে ইসলামী।

(এমআর/পি/ডিসেম্বর ৩১, ২০১৪)