স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক মন্দার কোনো প্রভাব বাংলাদেশে পড়েনি।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ২০তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রায় ৫ কোটি মানুষ নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ততে উন্নীত হয়েছে। সরকারি-বেসরকারিভাবে নতুন করে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্রয়ক্ষমতা বাড়লেই শিল্পের বিকাশ হয়। এ সময় সরকারের বিভিন্ন অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তিনি।

তিনি বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম ছয় লেন করার পাশাপাশি রেললাইনেরও উন্নয়ন করা হবে। এ ছাড়া রেল ও নৌপথের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করা হবে। ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-সিলেট রুট আরো উন্নত করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিনিয়োগ বাড়াতে ৮টি অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এই জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। সারা দেশে আরো অর্থনৈতিক অঞ্চল করা হবে।

তিনি বলেন, ‘আমরা এসএমই ফাউন্ডেশন ব্যবস্থা চালু করেছি। সেখান থেকে নারী উদ্যোক্তাদের কম সুদে ঋণ দেওয়া হয়। ব্যবসায়ীদের কাছে আমার দাবি, ২০২১ সালের মধ্যে যাতে ৫০ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি আয় করতে পারি।’

তিনি আরো বলেন, ‘এখন বিশ্বেও ১৯২টি দেশে আমরা পণ্য রপ্তানি করি। আরো নতুন দেশ খুঁজে নতুন পণ্য রপ্তানি করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে নিজেরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে বিদেশে রপ্তানি করা। খাদ্যের চাহিদা পূরণ করেই রপ্তানি করব।’

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলেই সাধারণ মানুষ সুন্দর জীবন পায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যারা উড়ে এসে জুড়ে বসেন, তারাই নিজেদের পকেট ভারী করতে ব্যস্ত থাকে। আমাদের লক্ষ্য সাধারণ মানুষের ভাগ্য উন্নয়ন। খুনের রাজনীতি বাংলাদেশে দেখতে চাই না। সাধারণ মানুষকে হত্যা করে আন্দোলন হয় না। তাই এর থেকে বেরিয়ে এসে সাধারণ মানুষের কাতারে দাঁড়াতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রতি মানুষের একটা আস্থা চলে এসেছে। আস্থাটা আরো বাড়াতে হবে। ২০২১ সালে বাংলাদেশ শুধু মধ্যম আয়ের দেশই হবে না, ২০৪১ সালে বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধিশালী দেশ।’

(ওএস/এইচআর/জানুয়ারি ০১, ২০১৫)