কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : বিদেশী ১০ পর্যটকের নাচ, গান ও অভিনয় এবং হাজারো দেশী-বিদেশী পর্যটকদের উপস্থিতিতে কুয়াকাটায় অনুষ্ঠিত হলো থার্টিফাষ্ট নাইট উদযাপন ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। বুধবার হরতালের কারণে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের আগমন কম হলেও রাতে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের আয়োজনে নতুন বছর বরন অনুষ্ঠান মানুষের ঢল নামে। অনুষ্ঠানে আকর্ষন ছিল ইতালী ও আয়ারল্যান্ড থেকে আগত পর্যটকদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাত ১২ টায় রাখাইনদের তৈরি ফাণুস উড়িয়ে ২০১৫ নতুন বছরকে বরণ করে নেয় পর্যটকরা। এ সময় গোটা সৈকত জুড়ে এক উৎসব মুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।

জামায়াতের হরতাল এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় বর্ষবরণে কুয়াকাটায় বর্ষবরন অনুষ্ঠান যখন ভেস্তে যেতে বসেছিলো প্রেসক্লাব আয়োজিত কুয়াকাটার একমাত্র অনুষ্ঠানটি ছিল সেখানকার মানুষের একমাত্র বিনোদন ভরসা। রখাইনদের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ফানুস উড়ানো হয় রাতের প্রথম প্রহরে। করা হয় নতুন বছরকে বরণ। অনুষ্ঠানে পটুয়াখালীর জেলা পুলিশ সুপার মোশফিকুর রহমান, কলাপাড়া থার ওসি মো. আজিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। ইতালীর পর্যটক ইষ্টিফানো ও আয়ারল্যান্ডের পর্যটক ডোনাল্ড ইন্টিনো বলেন, কুয়াকাটা সত্যিই ছবির মতো সাজানো গো ছানো। সপরিবারে এবার কুয়াকাটায় নতুন বছর উদযাপন করতে পেরে তারা ধন্য। সবচেয়ে বেশি খুশি তারা এদেশের মানুষের আতিথিয়তায়। যা তারা কখনোই ভুলবেন না। আর বাঙালী হয়েও ইংরেজী বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে দেশীয় লোকজ সংস্কৃতি তাদের মুগ্ধ করেছে। তারা সময় পেলেই বারবার কুয়াকাটায় আসবেন বেড়াতে।

থার্টি ফার্স্ট নাইট উদযাপন কমিটির আহবায়ক রুমান ইমতিয়াজ তুষার জানান, ইংরেজী নববর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতার পাশাপাশি দুই দিনের গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে তাদেরকে অনেকটা বিপাকে ফেলেছে। তারপরও কুয়াকাটা অবস্থান করা কয়েক শ’ পর্যটকরা অনুষ্ঠানে অংশ নেয়। অনুষ্ঠানের বিশেষ আকর্ষণ ছিলো বিদেশী পর্যটকদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তারা মেতে ওঠেন নৃত্যানুষ্ঠানে। এছাড়া পর্যটন শহর কলাপাড়ার বিভিন্ন অলিগলিতে শত শত কিশোর, যুবক বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে মেতে ওঠে। রাতভর বাজি ফোটানো হয়। গান-বাজনা হৈ-হুল্লুরে নির্ঘুম রাত কাটায় হাজার হাজার বর্ষবরণ উদ্যোগী মানুষ। এবছর পুলিশি নিরাপত্তা ছিল কঠোর।

কুয়াকাটা প্রেসক্লাব সভাপতি মিজানুর রহমান বুলেট জানান, হরতাল না হলে এ বছর কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল নামত।

(এমকেআর/পি/জানুয়ারি ০১, ২০১৪)