গাজীপুর প্রতিনিধি : এবারের বিশ্ব ইজতেমায় ৫ সেক্টরে বিভক্ত হয়ে ৫ স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলবে আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা। শনিবার গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গী আঞ্চলিক কার্যালয় প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত বিশ্ব ইজতেমার সর্বশেষ প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানান গাজীপুরের পুলিশ সুপার।

গাজীপুর সিটি মেয়র অধ্যাপক এম.এ মান্নানের সভাপতিত্বে ইজতেমার এ প্রস্তুতি সভায় উপস্থিত ছিলেন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ আহসান রাসেল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মোজাম্মেল হক, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ এক এম শহীদুল হক, ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লার রহমান, ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি এস.এম মাহফুজুল হক নুরুজ্জামান, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক মোঃ নূরুল ইসলাম, জেলা পুলিশ সুপার হারুন অর-রশিদ, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সুলতান মাহমুদ, তাবলীগ জামাতের স্বাগতিক বাংলাদেশের মুরব্বি মোঃ বদিউর রহমান, সাবেক এমপি মোজাম্মেল হক, বিলুপ্ত টঙ্গী পৌরসভার সাবেক মেয়র এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান এবং ইজতেমা সংশ্লিষ্ট কাজে নিয়োজিত সরকারের বিভিন্ন বিভাগ ও দপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা।

সভায় গাজীপুরের পুলিশ সুপার হারুন অর-রশিদ ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আইন শৃংখা বাহিনীর গৃহীত ব্যবস্থা তুলে ধরে বলেন, বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ইজতেমার আগে, ইজতেমা চলাকালীন সময়, দুই ধাপের মাঝে ও ইজতেমা শেষে ১৮ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা পাঁচ সেক্টরে বিভক্ত হয়ে দায়িত্ব পালন করবে। ইজতেমা চলাকালীন সময় ময়দানের চর্তুদিকে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলা হবে। সেই সাথে থাকবে স্ট্রাইকিং ফোর্স, চেক পোস্ট, ওয়াচ টাওয়ার এবং ইন্টারনেটের ওয়াইফাই সুবিধাসহ মিডিয়া সেন্টার। আইন শৃংখা বাহিনীর প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের চেয়ে ধর্মপ্রাণ মানুষ বিশ্বের আর কোথাও নেই। এ দেশের মানুষ দ্বীনের মেহনতে অনেক সময় উৎসর্গ করে থাকে। ধর্মপ্রাণ মানুষের অনুভূতিকে সম্মান জানিয়ে বিশ্ব ইজতেমা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সরকার সম্ভাব্য সব ধরণের সহযোগিতা করে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, দুই ধাপে বিশ্ব ইজতেমা প্রথম ধাপ আগামী ৯, ১০ ও ১১ জানুয়ারি ও দ্বিতীয় ধাপ আগামী ১৬, ১৭ ও ১৮ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। প্রথম ধাপে উত্তরাঞ্চল (ঢাকা জেলার উত্তর থেকে উত্তরাঞ্চলের সব জেলা) এবং দ্বিতীয় ধাপে দক্ষিণাঞ্চলের (ঢাকা জেলাসহ দক্ষিণাঞ্চলের সব জেলা) মুসল্লিরা অংশ নেবেন।

(এসএএস/পি/জানুয়ারি ০৩, ২০১৫)