কলাপাড়া(পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : শিক্ষা বোর্ড’র নির্দেশ উপক্ষো করে পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় এইচএসসির ফরম পূরনে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ফরম পূরনে একেকজন শিক্ষার্থীর কাছ থেকে তিন/চার হাজার টাকা অতিরিক্ত নেয়া হচ্ছে। সরকারিভাবে শিক্ষাবোর্ডের নিয়ম অনুসারে বোর্ডফিসহ সর্বোচ্চ ১৭’শ টাকা। অথচ কলাপাড়ার ছয়টি কলেজেই এই টাকা আদায় করছে কর্তৃপক্ষ।

জানা যায়, বোর্ডের নিয়মানুসারে ফরম ফিলাপের জন্য প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রত্যেক বিষয় বাবদ ৭৫ টাকা, ব্যবহারিক পরীক্ষার জন্য প্রতি বিষয় বাবদ ৪০ টাকা, একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্ট বাবদ ৫০ টাকা, পরীক্ষার সনদফি বাবদ ১০০ টাকা, এছাড়া রোভার্স রেঞ্জার ফি বাবদ ১৫ টাকা, জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ ফি বাবদ পাঁচ টাকা নেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্র ফি বাবদ ২৫০ টাকা এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা বাবদ আরও ২৫ টাকা করে নেয়ার কথা বলা রয়েছে। এভাবে সর্বোচ্চ ১৬০০ থেকে ১৭০০ টাকা নেয়ার কথা। কিন্তু টাকা নেয়া হচ্ছে তিন থেকে চার হাজার। কিন্তু কলাপাড়ার মোজাহারউদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রী কলেজ, কলাপাড়া মহিলা কলেজ, ধানখালী ডিগ্রী কলেজ, আলহাজ জালালউদ্দিন কলেজ, কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজ, মুক্তিযোদ্ধা মেমোরিয়াল কলেজে এ নিয়ম উপেক্ষিত। স্থানীয়ভাবে মোজাহারউদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রী কলেজ ও কলাপাড়া মহিলা কলেজ কিছু গরীব শিক্ষার্থীর কাছ থেকে দুই/আড়াই হাজার টাকা নিলেও অন্য কলেজেগুলোতে আদায় করছে ইচ্ছেমতো।

একাধিক ছাত্র-ছাত্রী জানান, কলেজে অনুপস্থিতি ফি সহ বহু ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেবে ৩/৪ হাজার টাকা নেয়া হয়েছে ফরম পূরনে। তারা কলেজে গিয়ে অনেক রিকোয়েষ্ট করেও টাকা কমাতে পারেনি। নামপ্রকাশ না করার শর্তে অভিভাবকরা বলেন, কলেজের নির্ধারণ করা টাকা না দিয়ে পরীক্ষার সময় তারা ঝামেলা করতে পারে এজন্য কষ্ট করে হলেও টাকা দিয়েছেন। এছাড়া তাদের কিছু করারও ছিলো না। এ ব্যাপারে একাধিক কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাদের কলেজে এসব হয় না, অন্য কলেজ করতে পারে বলে মন্তব্য করেন।

মোজাহারউদ্দিন বিশ্বাস ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ দেলওয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, অতিরিক্ত কোন টাকা নেয়া হয়নি। বোর্ড নির্ধারিত নিয়মে সবকিছু করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বরিশাল শিক্ষাবোর্ডের সচিব মোতালেব হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, অনিয়মকারীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ ব্যাপারে মামলা করার পরামর্শ দেন তিনি।

(এমকেআর/পি/জানুয়ারি ০৩, ২০১৫)