স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তাঁর স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া তাদের একমাত্র ময়ে ঐশীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত। অভিযুক্ত অন্য দু জন হলেন ঐশীর বন্ধু মিজানুর রহমান ওরয়ে রনি ও আসাদুজ্জামান ওরফে জনি।

মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর দায়রা জজ জহরুল হক অভিযোগ গঠন করে আগামী ৫ জুন সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেন।

এ ছাড়া শিশু আইনে অভিযুক্ত গৃহকর্মী সুমির বিচার নিষ্পত্তির জন্য মামলাটি ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বদলির আদেশ দেওয়া হয়েছে। ২০ মে অভিযোগ গঠন বিষষক শুনানির দিন ধার্য রাখা হয়েছে।

কাঠগড়ায় দাঁড়ানো তিন আসামিকে অভিযোগ পড়ে শোনানো হলে সবাই নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান।

পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) কর্মকর্তা মাহফুজুর রমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমান হত্যা মামলায় গত ৯ মার্চ ঐশী রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে দুটি অভিযোগপত্র জমা দেয় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ।

পরে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মারুফ হোসেন অভিযোগপত্র গ্রহণ করে মামলার পরবর্তী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য মহানগর দায়রা জজ আদালতে পাঠান।

গত বছরের ১৬ অগাস্ট রাজধানীর চামেলীবাগের একটি ফ্ল্যাটে এসবি পরিদর্শক মাহফুজ ও স্বপ্নার লাশ পায় পুলিশ।

পরে তাদের স্কুলপড়ুয়া মেয়ে ঐশী থানায় আত্মসমর্পণ করেন। এরপর পুলিশ ঐশীদের বাড়ির গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমী এবং ঐশীর বন্ধু রনি ও জনিকে গ্রেপ্তার করে।

মামলায় গৃহকর্মী সুমীকে সহায়তাকারী এবং দুই বন্ধুকে ঐশীর আশ্রয়দাতা হিসেবে দেখানো হয়েছে।

ও লেভেলের ছাত্রী ঐশীকে গ্রেপ্তারের পর তার বয়স নিয়ে আলোচনা উঠলে আদালতের নির্দেশে ঢাকা মেডিকেলে পরীক্ষা করে পুলিশ জানায়, ঘটনার সময় তার বয়স ১৮ বছরের বেশি ছিল।

ঐশী ও তার বন্ধুরা বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন। শিশু গৃহকর্মী সুমী রয়েছে গাজীপুরে কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে।

(ওএস/এটি/মে ০৬, ২০১৪)