আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : ৫ জানুয়ারি ঢাকায় বিশ দলীয় জোটের সমাবেশ উপলক্ষে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী লঞ্চ এবং বাস চলাচল আকস্মিক ভাবে রবিবার দুপুর থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সোমবার সকাল পর্যন্ত এ ঘোষণা বলবত থাকবে। এ ব্যাপারে লঞ্চ মালিক ও নগর পুলিশের পক্ষ থেকে পরস্পর বিরোধী বক্তব্য পাওয়া গেছে। হঠাৎ করে এ ঘোষণার ফলে যাত্রীরা চরম বিপাকে পরেছেন।

অপরদিকে সোমবার সকাল দশটায় কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচী অনুযায়ী ২০ দলীয় জোট নগরীর বিএনপি কার্যালয়ে সমাবেশ করার অনুমতি চেয়েছেন বলে বিএনপি নেতারা দাবি করলেও নগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা কোন আবেদন পাননি।

বাস মালিক সমিতির সভাপতি আফতাব হোসেন জানান, রবিবার দুপুর ২টার পর থেকে ঢাকাগামী বাস চলাচল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাস চলাচল বন্ধে তারা কোন নির্দেশনা পেয়েছেন কিনা এ প্রশ্নের বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি বলেন, এমনিতেই যাত্রী সংখ্যা কম বলে মালিক শ্রমিকেরা বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

রবিবার বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে কীর্তনখোলা-২,সুন্দরবন-৮ এবং পারাবত-৯ লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা। কীর্তনখোলা লঞ্চের পরিচালক রিয়াজুল করিম জানান, পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের জানানো হয়েছে, যাত্রীদের নিরাপত্তায় লঞ্চে চেকপোষ্ট বসানো হবে এজন্য লঞ্চ ছাড়তে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ঘন্টাখানেক বিলম্ব হতে পারে। তবে ২টার দিকে নগর পুলিশের পক্ষ থেকে নগর পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার (সদর) সোয়েব আহম্মেদ-পিপিএম জানান, লঞ্চে বোমা হামলার আশংকায় লঞ্চ মালিকরা নিজ থেকেই লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় লঞ্চ মালিক সমিতির সহ-সভাপতি সুন্দরবন লঞ্চ কোম্পানীর পরিচালক সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধের তারা কোন নির্দেশনা পাননি। লঞ্চ মালিক সমিতির পক্ষ থেকেও দুপুর ২টা পর্যন্ত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আকস্মিক ভাবে বরিশাল থেকে বাস এবং লঞ্চ চলাচল বন্ধের বিষয়ে নগর বিএনপি সহ-সম্পাদক আনোয়ারুল হক তারিন বলেন, আমরা কেউ ঢাকায় যাচ্ছিনা। বরিশালে গণতন্ত্র হত্যা দিবস উপলক্ষে সোমবার বরিশালে সমাবেশ করবো। সেক্ষেত্রে কেন যে পাবলিকের ভোগান্তি করে যানচলাচল বন্ধ ঘোষণা করছে সরকার।

(টিবি/এএস/জানুয়ারি ০৪, ২০১৫)