বগুড়া প্রতিনিধি: বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন বলেছেন, প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিটি গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছে ছাত্রলীগ এবং চরম আত্মত্যাগের বিনিময়ে বিজয় ছিনিয়ে এনেছে। ৫২-এর ভাষা আন্দোলন, থেকে  শুরু করে সকল আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনসহ ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধে অসংখ্য নেতা-কর্মী সম্মুখসমরে অংশগ্রহণ করে লাল সবুজের পতাকার স্বাধীনতার বিজয় ছিনিয়ে আনতে অগ্রসেনানীর ভূমিকা পালন করে।

তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করার পর ছিনতাই হয়ে যাওয়া বিজয় পুনরুদ্ধার ও বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনার ১৭ মে দেশে প্রত্যাবর্তনের পর গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ বীর সিপাহসালারের ভূমিকা পালন করে। ৯০-এর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র নেতৃত্বে ছাত্রলীগ গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করে।

তিনি দেশ বিরোধী সকল চক্রান্তের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রুখে দাঁড়ানোর আহবান জানান। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৬৭তম বার্ষিকী উপলক্ষে বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্ত্যব্যে তিনি কথাগুলো বলেন। ৪ জানুয়ারী রবিবার দুপুরে শহরের সাতমাথায় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আল রাজী জুয়েলের সভাপতিত্বে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সংগঠনের বগুড়া জেলা সাধারণ সম্পাদক মাশরাফি হিরোর পরিচালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান মজনু, জেলা পরিষদ প্রশাসক ডা: মকবুল হোসেন,মাহবুবুর রহমান রাজা, এড. মকবুল হোসেন মুকুল, টি জামান নিকেতা, প্রদীপ কুমার রায়, আমানুল্লাহ আমান, তপন চক্রবর্তী, এসএম শাহজাহান, আবুল কাশেম ফকির, সাখাওয়াত হোসেন সফিক, মনসুর রহমান মুন্নু, এড, শফিকুল আলম আক্কাস, আসাদুর রহমান দুলু, শাহাদৎ আলম ঝুনু, জাকির হোসেন নবাব, রফি নেওয়াজ খান রবিন, আবু সুফিয়ান সফিক, রুহুল মোমিন তারিক, সাজেদুর রহমান সাহীন, সুলতান মাহমুদ খান রনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন মাফুজুল ইসলাম রাজ, আলহাজ শেখ, আমিনুল ইসলাম ডাবলু, মশিউর রহমান মন্টি, আসলাম হোসেন, আঞ্জুমান আক্তার আয়না, রত্না সরকার প্রমুখ। সভাশেষে বিশাল বর্নাঢ্য র‌্যালী শহর প্রদক্ষিন করে।

(এএসবি/এএস/জানুয়ারি ০৪, ২০১৫)