নিউজ ডেস্ক : সকাল ভালো তো সারা দিনই ভালো। কিন্তু সকালেই যদি মন-মেজাজ খারাপ হয়ে যায়, তবে পুরো দিনই খিটখিটে লাগে। সে সময় একটি স্বাভাবিক জিনিসেও আমাদের মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। কোনো কিছুই ভালো লাগে না। এর প্রভাব পড়তে থাকে পুরো দিনের কাজের ওপর। তাই দিনের শুরুটা যতটা সম্ভব ভালো করার চেষ্টা করতে হবে। এতে করে পুরো দিনটিই কাটবে ফুরফুরে মেজাজে।

সকালে ঘুম থেকে উঠুন : ঘুম থেকে উঠতে যদি দেরি হয়ে যায়, তবে প্রথমেই মেজাজ খারাপ হয়ে যায়। কারণ তখন তাড়াহুড়া করে তৈরি হতে হয় এবং তাড়াহুড়ায় ভুল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি থাকে। তাই একটু তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করুন। এতে আপনি গুছিয়ে কাজ করতে পারবেন এবং ভুলের সম্ভাবনা একেবারেই থাকবে না। মন-মেজাজও খারাপ হবে না। প্রয়োজনে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে যান। সকালে উঠতে সমস্যা হবে না।

সকালেই গোসল করুন : শীতের দিনে যদিও গোসল করাটা একটু কষ্টকর। কিন্তু তারপরও হালকা গরম পানি করে গোসল করে নিন। সকাল শুরু করুন গোসল করে। এতে করে অলসতা কেটে যাবে। ফ্রেশ লাগবে। মনও থাকবে বেশ ভালো।

সকালটা শুরু হোক পছন্দের গান দিয়ে : সাইকোলজিস্টদের মতে গান এমন একটি জিনিস, যা যে কোনো পরিস্থিতিতে আমাদের মন ভালো করে দেয়ার ক্ষমতা রাখে। সকালে উঠে নিজের পছন্দের গান শুনুন। মন বেশ ফুরফুরে হয়ে যাবে এবং দেখবেন পুরো দিনের মানসিক চাপ দূর হবে, যখনই আপনি গানটি গুনগুন করবেন।

চকোলেট মুখে দিয়ে ঘর থেকে বের হোন : চকোলেট মস্তিষ্কে ভালোলাগার হরমোন 'সেরেটেনিন' উৎপন্ন করে। এতে করে দিনের শুরুটা হবে ভালোলাগা দিয়ে এবং যতক্ষণ পর্যন্ত এ হরমোন মস্তিষ্কে উৎপন্ন হবে ততক্ষণই আপনি থাকবেন ফুরফুরে মেজাজে। তাই একটু ছেলেমানুষি হলেও সকালে সামান্য চকোলেট মুখে দিয়ে কাজে যান।

প্রেরণামূলক বাক্য শোনান নিজেকে : দিনের শুরুতে পুরো দিনের জন্য তৈরি এবং আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে নিজেকে বলুন প্রেরণামূলক কোনো একটি বাক্য। সাইকোলজিস্টদের মতে, এটি আত্মবিশ্বাসী থাকতে বেশ সহায়ক। তাই সকালে তৈরি হয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বলুন, 'আমি পারব এ কাজটি করতে' কিংবা 'আমি হব একজন সফল মানুষ'। এতে আপনি অনেক বেশি প্রেরণা পাবেন। পুরো দিন কাজে স্পৃহা আসবে। মন থাকবে ফুরফুরে।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ০৪, ২০১৫)