নীলফামারী প্রতিনিধি : স্ত্রীকে হত্যার পর হাসপাতালে লাশ ফেলে পালিয়ে গেলেন পাষন্ড স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। পরে পুলিশ হাসপাতালের বারান্দা থেকে লাশটি উদ্ধার করে। মঙ্গলবার বিকেলে নীলফামারীর ডিমলায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগে জানা যায়, চার বছর আগে পার্শ্ববর্তী ডোমার উপজেলার বোড়াগাড়ী গ্রামের জয়নাল আবেদিনের মেয়ে আনোয়ারা বেগমের (২২) সঙ্গে ডিমলা উপজেলা পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের মধ্যছাতনাই গ্রামের বাছেদ আলীর ছেলে রবিউল ইসলামের (২৪) বিয়ে হয়। বিয়ের সময় তাকে ৫০ হাজার টাকা যৌতুকও দেওয়া হয়। কিন্তু গত দুই মাস ধরে রবিউল ও তার বাড়ির লোকজন যৌতুকের আরো ৭০ হাজার টাকা দাবি করে আসছিলেন। আর এ জন্য আনোয়ারাকে প্রায়ই শারীরিক নির্যাতনও করা হতো।

মঙ্গলবার এমনই এক ঘটনায় আনোয়ারাকে বেধরক পেটায় পাষন্ড স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এক পর্যায়ে সংজ্ঞা হারিয়ে ফেললে, ডিমলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে আনোয়ারার মৃত্যু হয়। এ অবস্থায় তার লাশ হাসপাতালের বারান্দায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায় হত্যাকারীরা।

ডিমলা থানার ওসি শওকত আলী জানান, গৃহবধু আনোয়ারার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ ব্যাপারে আনোয়ারার মা আবেদা বেগম বাদী হয়ে জামাতা রবিউল ইসলাম, তার ভাই রমজান আলী ও শ্বশুর বাছেদ আলীকে আসামি করে একটি হত্যার অভিযোগ করেছেন। বুধবার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলার মর্গে প্রেরণ করা হবে।

(ওএস/এইচআর/জানুয়ারি ০৭, ২০১৫ )