খুলনা প্রতিনিধি : জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, টানা অবরোধ দিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জনগণের ওপর রাগ ঝাড়ছেন।

শুক্রবার খুলনায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বন্দি বা গ্রেপ্তার নন। তাকে উস্কানি থেকে নিবৃত্ত রাখা হয়েছে।

কর্মীদের বাদ দিয়ে আন্দোলনে হতাশ ও ব্যর্থ বেগম খালেদা জিয়া জনগণের ওপর রাগ ঝাড়ছেন। শিক্ষার্থী, অসুস্থ মানুষ, ইজতেমায় অংশগ্রহণকারী মুসল্লি কারোর ধারই তিনি ধারেন না। তিনি জঙ্গি মৌলবাদীদের নিয়ে যে কোনো উপায়ে ক্ষমতায় যেতে চান।

৫ জানুয়ারি দশম সংসদ নির্বাচনের বর্ষপূর্তিতে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবসের’ কর্মসূচি পালনে ব্যর্থ হয়ে সোমবার বিকালে সারা দেশে লাগাতার অবরোধের ডাক দেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

অবরোধের মধ্যে দূরপাল্লার যান চলাচল ব্যাহত হলেও রাজধানীসহ দেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোতে স্বাভাবিক সময়ের মতোই গাড়ি চলছে।

বিশ্ব ইজতেমায় মুসল্লিদের অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার স্বার্থে বিএনপি নেতৃত্বের প্রতি অবরোধ তুলে নেওয়ার আহ্বান ছিল।

মহানগরীর শহীদ হাদিস পার্কে জাসদের ওই দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে ইনু ছিলেন প্রধান অতিথি।

তিনি বলেন, খালেদা জিয়া স্বাভাবিক রাজনীতি বোঝেন না। তিনি মৌলবাদী ও জঙ্গিবাদীদের সাথে নিয়ে আর একটি চক্রান্ত করছেন। এর আগে তিনি বিগত নির্বাচনের সময় একইভাবে চক্রান্ত করেছিলেন।

খালেদা জিয়াকে ‘অন্তর্ঘাত ও নাশকতার উস্কানিদাতা’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে ইনু বলেন, অবরোধের নামে বাস পোড়ানো, মানুষ খুন ও অরাজকতা তৈরি করছেন।

খালেদা জিয়ার দেওয়া সাত দফা প্রস্তাবকে ‘পুরনো কাসুন্দি’ অভিহিত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এ প্রস্তাবে নতুনত্ব কিছু নেই। কীভাবে নির্বাচন হবে সে বিষয়ে সংবিধানে সুস্পষ্টভাবে বলা আছে।

পাশাপাশি এ বিষয়ে হাই কোর্টেরও নির্দেশনা রয়েছে। আসলে খালেদা জিয়া নির্বাচন চান না। জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ মুক্ত দেশ গড়তে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জাসদ খুলনা মহানগর শাখার সভাপতি রফিকুল হক খোকন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা দেন জাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, স্থায়ী কমিটির সদস্য শিরীন আখতার, সাংগঠনিক সম্পাদক ওবায়দুর রহমান চুন্নু।

এতে শুভেচ্ছা বক্তৃতা দেন খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান।

এর আগে জাতীয় সংগীত, জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ০৯, ২০১৫)