স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : ন্যু ক্যাম্পে যে সঙ্কট চলছে এ নিয়ে এখন রাগঢাক করার কিছু নেই। লিওনেল মেসি ও কোচ লুইস এনরিকের মধ্যকার দ্বন্দ্ব বিশ্বব্যাপী চাউড় হয়ে গেছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যে, দুজনের একজনকে বার্সা ছাড়তে হবে বলেই মনে হচ্ছিল। শোনা যাচ্ছে এনরিক-মেসির দ্বন্দ্ব সমাধানে এগিয়ে আসেন নেইমার।

মেসি-নেইমারকে সাইড বেঞ্চে বসিয়ে রাখায় গত সপ্তাহে রিয়াল সোসিয়েদাদের কাছে হারতে হয়েছিল বার্সাকে। এ নিয়ে অনেক সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয় এনরিককে। এবার অবশ্য সেই ভুল করেননি বার্সা কোচ। প্রতিদান দিলেন মেসি-নেইমারও। দলের অভ্যন্তরে যতো দ্বন্দ্বই থাকুক এবার মাঠে তার প্রভাব পড়তে দিলেন না। সেই সুবাদে কোপা ডেল রের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে এলচেকে ৫-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বার্সেলোনা। এর ফলে কোয়ার্টার প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেল বার্সার। শেষ আটে রিয়াল মাদ্রিদ অথবা অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদকে মোকাবিলা করতে হবে দলটির। ইতিমধ্যেই শেষ ষোলর প্রথম লেগে রিয়ালকে ২-০ গোলে হারিয়েছে অ্যাটলেটিকো। দিন দিন যেন বার্সার ভরসাস্থল হয়ে উঠছেন নেইমার। মেসি-এনরিকের দ্বন্দ্ব সামলাতে ভূমিকা রেখেছিলেন ব্রাজিলিয়ান এই তারকা। এবার মাঠেও করলেন জোড়া গোল। ন্যু ক্যাম্পে গোলোৎসবের সূচনা করেছিলেন তিনিই। খেলার ৩৫ মিনিটে সুয়ারেজের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে ডান পায়ের শটে এলচের জাল ভেদ করেন নেইমার (১-০)।

৫ মিনিটের মধ্যেই ব্যবধান দ্বিগুণ করেন সুয়ারেজ। খেলার ৪০ মিনিটে জর্দি আলবার দেওয়া বলে প্রতিপক্ষের জাল ভেদ করেন এই উরুগুইয়ান স্ট্রাইকার (২-০)। এ দুজনের সঙ্গে প্রথমার্ধেই যুক্ত হন মেসি। আর্জেন্টাইন তারকা গোলটি করেন পেনাল্টি থেকে। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে ডি বক্সের মধ্যে নেইমারকে ফাউল করেন এলচের এনজে রোকো। ফলে পেনাল্টি পেয়ে যায় বার্সা। রেফারি ফাউলের পাশাপাশি রোকোকে হলুদ কার্ডও দেখান। সেই পেনাল্টি থেকে বাঁ পায়ের শটে গোল করেন মেসি (৩-০)।

দ্বিতীয়ার্ধের ১৫ মিনিটের মধ্যেই আরও দুই গোল করে ব্যবধান অনেক বাড়িয়ে নেয় বার্সেলোনা। মেসি-নেইমারদের সঙ্গে এবার যোগ দেন জর্দি আলবা। মেসির দেওয়া বলে খেলার ৫৬ মিনিটে গোল করেন তিনি (৪-০)। সবশেষ ব্যক্তিগত দ্বিতীয় গোল করেন নেইমার। ৫৯ মিনিটে এই গোলটিতেও সহায়তা করেন মেসি। বাঁ প্রান্তে বক্সের বাইরে থেকে ডান পায়ের শটে গোল করেন নেইমার (৫-০)।

(ওএস/পি/জানুয়ারি ০৯, ২০১৫)