স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : খোলা চোখে দেখলে ভারতের জয়ের আশাটা বলতে হবে ক্ষীণই। সিডনি টেস্টের চতুর্থ দিনশেষে অস্ট্রেলিয়ার লিড দাঁড়িয়েছে ৩৪৮ রানের। হাতে আছে আরো ৪টি উইকেট। শেষ দিনের শুরুতে আরো কিছু রান যোগ করতে চাইবে দলটি। আর সেই রান তাড়া করে জয় তুলে নেওয়াটা ভারতের জন্য প্রায় অসম্ভবই। শুক্রবার প্রথম ইনিংসে ৪৭৫ রান করে অলআউট হয় ভারত। ফলে প্রথম ইনিংসে ৯৭ রানের লিড পান অসিরা। পরে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেটে ২৫১ রান নিয়ে দিন শেষ করে স্টিভেন স্মিথের দল।

সিডনির পিচে ব্যাট করাটা ধীরে ধীরে কঠিন হয়ে আসছে বলেই মনে হচ্ছে। কেননা আগের তিন দিনে দুই দলের মিলে উইকেট পতন হয় ১২টি। আর শুক্রবার একদিনেই আউট হন ১১ জন ব্যাটসম্যান! ৫ উইকেটে ৩৪২ রান নিয়ে চতুর্থ দিনে আবারও প্রথম ইনিংসে খেলা শুরু করেন কোহলিরা। এ দিনে বড় কোনো সাফল্যের দেখা পাননি ভারতের ব্যাটসম্যানরা। ১৪০ রান নিয়ে দিন শুরু করা অধিনায়ক কোহলি ব্যক্তিগত খাতায় আর মাত্র ৭ রান যোগ করতে সক্ষম হন। দলীয় ৩৫২ রানের মাথায় রায়ান হ্যারিসের বলে ক্রিস রজার্সের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাঠ ছাড়েন কোহলি। ২৩০ বল থেকে ২০টি চারের মারে ১৪৭ রান করেন তিনি। এরপর রবিচন্দ্রণ অশ্বিন, ঋদ্ধিমান সাহা ও ভুবনেশ্বর কুমার কিছুটা এগোনোর চেষ্টা করেছেন। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফলেই ইনিংসকে পাঁচশর কাছাকাছি পর্যন্ত নিয়ে যেতে সক্ষম হয় ভারত।

অশ্বিন হাফ সেঞ্চুরি করলেও ঋদ্ধিমান সাহা ৩৫ ও ভুবনেশ্বর ৩০ রান করে আউট হন। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে উমেশ যাদব আউট হওয়ার সময় ভারতের রান দাঁড়ায় ৪৭৫। অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক ৩টি এবং নাথান লিওন, রায়ান হ্যারিস ও শেন ওয়াটসন ২টি করে উইকেট নেন। প্রায় শত রানের লিডই অস্ট্রেলিয়াকে ঝুঁকি নিতে উদ্বুদ্ধ করে। শুরু থেকেই দলটি মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকে। যে কারণে দ্রুত উইকেটও হারায় দলটি। এই ধারায় বরাবরের মতো স্টিভেন স্মিথ বাঁধ সাধেন। ৭০ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কার মারে ৭১ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। চার ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ৭৬৯ রান করেন তিনি।

তবে সবচেয়ে মারমুখী খেলেন জো বার্নস। মাত্র ৩৯ বল থেকে ৮টি চার ও ৩টি ছক্কার মারে ৬৬ রান করে আউট হন তিনি। এ ছাড়া ওপেনার ক্রিস রজার্স করেন ৫৬ রান। বাকি ব্যাটসম্যানরা খুব বেশি সাফল্য না পেলেও প্রায় সাড়ে তিনশ রানের লিড নিতে সক্ষম হয় অস্ট্রেলিয়া। দিনশেষে ব্র্যাড হাডিন ৩১ রানে অপরাজিত আছেন। ভারতের রবিচন্দ্রণ অশ্বিন একাই চারটি উইকেট তোলে নেন।

(ওএস/পি/জানুয়ারি ০৯, ২০১৫)