সাতক্ষীরা প্রতিনিধি : সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের জামায়াত শিবিরের নাশকতাকারীরা প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেড়াচ্ছে। অভিযোগ, পুলিশ তাদেরকে ধরছে না।

জানাগেছে, গত বছরের ২৮ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল জামায়াত নেতা দেলোয়ার হুসাইন সাঈদীর ফাঁসির রায় ঘোষনার পরবর্তী কলারোয়া উপজেলার জয়নগর ইউনিয়নের গাজনা,বসন্তপুর,ক্ষেত্রপাড়া,নীলকণ্ঠপুর ও আফগানস্তান নামে খ্যাত মানিকনগর গ্রামের শতশত জামায়াত শিবিরের নেতা কর্মীরা খুন,জখম,আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের ঘর বাড়ীতে অগ্নিসংযোগ, দোকানপাট লুটপাট, রাস্তা কাটা, গাছকাটা সহ বিভিন্ন প্রকার নাশকতায় জড়িয়ে পড়ে। আর ওই সব নাশকতা চলে দীর্ঘ ১০ মাসেরও বেশী সময় ধরে। যার অবসান ঘটে গত ৫ জানুয়ারীর ১০ম সংসদ নির্বাচনের পর। ওই সব সহিংসতায় জড়িতদের বেশীর ভাগ নাশকতাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা না হলেও জামায়াত শিবিরের প্রথম কাতারের সেসব নাশকতাকারীরা ছিলো কিছুদিন আত্মগোপনে।

ইতেমধ্যে ওই সব জামায়াতি নাশকতাকারীদের মধ্যে মানিকনগর গ্রামের সোবাহান গাজীরছেলে রেজাইল দর্জি, মেহের দপ্তরীর ছেলে নজরুল দপ্তরী, মানিক সরদারের ছেলে ইসমাইল সরদার, বাবরালী সানার ছেলে নাসির সানা, ছহিল উদ্দিন খাঁর ছেলে হামিদ খাঁ, সুলতান খাঁর ছেলে শাহজাহান খাঁ, মৃত-ইউসুফ আলি গাজীর ছেলে সাবান আলি, সাহবুদ্দিন খাঁ’র ছেলেমোমিন খাঁ নীলকণ্ঠপুর গ্রামের মৃত আঃ রশিদ গাজীর ছেলে সিদ্দিক মেম্বর, আকছেদ মোড়লের ছেলে মিলন খোদ্দবাঁটরা গ্রামের বুদই মোল্যার ছেলে করিমমোল্যা, নওবাত আলিরছেলে জব্বার শেখ, বসন্তপুর গ্রামের দুঃখে গাজীর ছেলে আঃ গফ্ফার, মহসিন মোড়লের ছেলে রবিউল ইসলাম,আকবর মোড়লের ছেলে মোকলেছুর রহমান, গাজনা গ্রামের আমিনউদ্দীন সানার দাউদ আলি, আজিজার সানার ছেলে হবিবার সানা,গফ্ফার সরদারের ছেলে রুহুল কুদ্দুস আত্মগোপন থেকে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। এবার তারা বুক ফুলিয়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। থাকছে তারা জামাই আদরে। ওই সব গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের মনা মানুষ হলো যেন সংখ্যালঘুর কাতারে। ওই সব জামায়াতি নাশকতাকারীরা সে সব অঞ্চলের স্বাধীনতার পক্ষের মানুষ গুলোর দিনে রাতে বিভিন্ন প্রকার ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়াগেছে। ওই সব নাশকতাকারীরা পাঁচ বছর পর দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।

এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুন্সি মোফাজ্জেল হোসেন কণক জানান, আসামীদের প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ ঠিক নয়। এরপরও অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


(আরকে/অ/মে ০৭, ২০১৪)