স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপীর করা ধর্ষণ মামলায় কারাগারে সাধারণ বন্দীদের সঙ্গে দিন কাটছে জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের। আসন্ন বিশ্বকাপে নিজের অংশগ্রহণ অনিশ্চয়তার মুখে পড়ায় বিমর্ষ হয়ে পড়েছেন তিনি।

শনিবার সকালে বাবা-মা ও জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আকরাম খান দেখা করলেও তাঁকে বেশ চিন্তিত দেখা গেছে। কারাগারে অন্যান্য বন্দীদের সঙ্গে কথা বললেও তিনি ছিলেন অনেকটা বিমর্ষ। বাড়ি থেকে আনা খাবার খেয়েই আজকের দিনটি পার করেছেন তিনি।

কারা সূত্র জানায়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ৭ নম্বর সেলে অন্য দশজন সাধারণ কয়েদির মতোই দিন কাটছে রুবেল হোসেনের। জেলের অন্যান্য বন্দীরা রুবেলের জেলে যাওয়ার খবর শুনেই ভিড় জমান তাঁর সেলের সামনে। অনেকে ছুটে যান তাঁর সঙ্গে হাত মেলাতে। অনেকে ব্যস্ত হয়ে পড়েন তাঁর খোঁজ খবর নিতে। তবে রুবেলকে অধিকাংশ সময় দেখা গেছে চিন্তিত অবস্থায়।

অন্যান্য বন্দীর তুলনায় তিনি অনেকটা কম কথা বলছেন। কারাগারের দেওয়া খাবারের পাশাপাশি প্রিজন ক্যান্টিন থেকে খাবার কিনে খান তিনি।

জানতে চাইলে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী বলেন, ‘ক্রিকেটার রুবেলকে ডিভিশন দেওয়া হয়নি। তিনি কারাগারে ৮/১০ জন সাধারণ কয়েদির মতোই আছেন। কারাগারের বিশেষ সুবিধার আওতায় না পড়ায় তাঁকে ৭ নম্বর সেলে সাধারণ কয়েদিদের সঙ্গেই রাখা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, বৃহস্পতিবার রুবেলের সঙ্গে দেখা করেছিলেন তাঁর বাবা-মা। সেসময় তাঁরা কিছু ফল ও শুকনো খাবার নিয়ে এসেছিলেন। শনিবার সকালে তাঁর বাবা-মার সঙ্গে আসেন ক্রিকেটার আকরাম খান। তাঁরা রুবেলের খোঁজ খবর নিয়ে তাঁকে চিন্তামুক্ত থাকার পরামর্শ দেন। প্রিজন ক্যান্টিনে জমা দেয়া টাকা দিয়ে রুবেল কারাগারে পছন্দমত খাবার কিনে খাচ্ছেন।

গত ১৩ ডিসেম্বর নায়িকা হ্যাপী ধর্ষণের অভিযোগ এনে রাজধানীর মিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন ৯/১ ধারায় রুবেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

১৫ ডিসেম্বর এ মামলায় হাইকোর্ট রুবেলকে চার সপ্তাহের জামিন দেন এবং এই সময়ের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।

বৃহস্পতিবার নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

(ওএস/অ/জানুয়ারি ১০, ২০১৫)