স্পোর্টস ডেস্ক : নায়িকা নাজনীন আক্তার হ্যাপির দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় কারাগারে থাকা জাতীয় ক্রিকেট দলের পেসার রুবেল হোসেনের পক্ষে জামিন আবেদন করা হবে বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।

 

রবিবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করা হবে।

আইনজীবী মনিরুজ্জামান আসাদ বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে রুবেল আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠান। এখন আমরা তার পক্ষে দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করব। আত্মবিশ্বাস আছে, দায়রা জজ আদালত রুবেলকে জামিন দেবেন। নাহলে আমরা হাইকোর্টে আবেদন করব।’

সূত্র জানায়, শনিবার বিকেলে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরে রুবেলের পাশে থাকার ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, মামলার যৌক্তিকতা না থাকলে রুবেলের পাশে থাকবে বিসিবি।

সন্ধ্যা ৬টায় দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, রুবেলের মামলার মেরিট দেখে বিসিবির লিগ্যাল অ্যাডভাইজারদের সঙ্গে আলোচনা করব এবং মামলায় সহায়তার বিষয়ে যথাসম্ভব রুবেলের পাশে থাকবে বিসিবি।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার সাদাতের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে জামিন নামঞ্জুর করে রুবেলকে জেলহাজতে পাঠান আদালত।

গত মঙ্গলবার বিকেলে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আশিকুর রহমানের আদালত রুবেলের জামিন আবেদন মঞ্জুর করে আদেশ দেন। ওই দিন উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আদালতে আবার জামিন আবেদন করতে আসেন রুবেল হোসেন। তখন তার আইনজীবীরা তার পক্ষে জামিন আবেদন করেন।

গত ১৫ ডিসেম্বর বিকেলে হাইকোর্টের বিচারপতি সৈয়দ এবি মাহমুদুল হক ও বিচারপতি আকরাম হোসেন চৌধুরী সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ তাকে এই মামলায় চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। একই সঙ্গে এ সময়ের মধ্যে তাকে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

এর আগে গত ১৩ ডিসেম্বর ২০১৪ নবাগত অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপি ধর্ষণের অভিযোগ এনে রাজধানীর মিরপুর থানায় রুবেলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন ৯/১ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন।

জানা যায়, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রুবেল তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক হয়েছে বলেও দাবি করেন হ্যাপি। সে সময় তিনি বলেন, ‘গত আট-নয় মাস ধরে রুবেলের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে বিভিন্ন সময় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে। কিন্তু আমি যখনই বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকি তখন সে টালবাহানা করতে থাকে। পরবর্তী সময়ে সে আমার গায়ে হাত তোলে। এ অবস্থায় আমি মামলা করতে বাধ্য হলাম।’

মামলা দায়েরের পর রাত সাড়ে ৭টার দিকে নায়িকা হ্যাপিকে পুলিশের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে নেওয়া হয়। পরদিন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়।

(ওএস/এটিআর/জানুয়ারি ১১, ২০১৫)