নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : পরিবেশের অন্যতম অনুসঙ্গ পাখি। পাখির প্রতি মমত্ববোধ সৃষ্টি ও নতুনদের অনুপ্রাণিত করতে ময়মনসিংহের নান্দাইলে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন নান্দাইল অ্যামেচার বার্ড ওয়াচার গ্রুপ (ন্যাবগ) প্রতি বছরের মত এবারও পাখি পর্যবেক্ষণ শুরু করেছে।

রবিবার সকালে এ সংগঠনের আয়োজনে ১৫ জন সদস্য নান্দাইল পৌরসভার নাথপাড়া ও দশালিয়া গ্রামে পাখি পর্যবেক্ষণ করে। পাখির বিভিন্ন নাম, স্বভাব, খাদ্যাভ্যাস এবং অন্যান্য বিষয় সম্পর্কে জানে। তারা প্রায় সাড়ে ৩ ঘন্টা পাখি পর্যবেক্ষণ করে গো- শালিক, ভাত শালিক, ঝুটি শালিক, দোয়েল, ঘুঘু, ফিঙ্গে, চড়–ই, বুলবুলি, পাতি মাছরাঙা, শঙ্খ চিল, তিত্, কাঠ শালিক, বসন্ত বাউরি, কাঠঠোকরা ও টুনটুনিসহ প্রায় পনের প্রজাতির পাখি সম্পর্কে জানে।

ন্যাবগ’র সদস্য হাবিবা জানান,‘পাখি সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। আজ এ বিষয়ে আমার আগ্রহ জন্মেছে।’ অপর এক সদস্য মাহফুজা বলেন, ‘আমরা পাখির সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টা করব।’ শারমিন নামের এক শিক্ষার্থী জানান, শুধু আমি নয় আমার ভাইবোনদের মধ্যে পাখি বিষয়ে আগ্রহ গড়ে তুলতে সহায়তা করবো।

নান্দাইল অ্যামেচার বার্ড ওয়াচার গ্রুপের সংগঠক অধ্যাপক অরবিন্দ পাল অখিল জানান, মূলত স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে পাখি বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টিতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
অপর এক সদস্য জানান দেশীয় পাখি চেনার মত সাহায্যকারী বই ও বাইনোকুলারসহ বিভিন্ন উপকরণ রয়েছে। এসব উপকরণ সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।

পাখির প্রতি মমত্ব ও পরিবেশ বান্ধব জাতি গড়তে এ সংগঠন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাখি পর্যবেক্ষক সংগঠন গড়ে তুলছে। তাদের এ কাজে সম্পৃক্ত আছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক গাজী আসমত, বিশিষ্ট পরিবেশবিদ আলম শাইনসহ দেশের বরেণ্য পাখি ও বন্যপ্রাণীবিদরা।

উল্লেখ্য, গত ৪ বছর ধরে ‘ন্যাবগ’ নান্দাইল উপজেলায় পাখি পর্যবেক্ষণ কাজ করে যাচ্ছে। তাদের তালিকা অনুযায়ী এ এলাকায় ৪৩ প্রজাতির দেশীয় পাখি সনাক্ত করেছে।

(এপি/এএস/জানুয়ারি ১১, ২০১৫)