বিনোদন ডেস্ক : ফোক সঙ্গীত ও সমাজসেবা নিয়েই বেশি সময় কাটে সঙ্গীত শিল্পী ও সমাজসেবিকা মাকসুদা মল্লিকার। বাংলাদেশে শুদ্ধ ফোক সঙ্গীত পরিবেশনের পাশাপাশি সামাজিক কার্যকলাপের জন্য তার জীবনের খাতায় যোগ হয়েছে অনেক সম্মাননা ও সংবর্ধনা। শত ব্যস্ততার মধ্যেও তিনি মিরপুরের নিজ বাড়িতে কথা বে উত্তরাধিকার ৭১ নিউজের এই প্রতিবেদকের সঙ্গে।

উ.৭১ : কেমন আছেন ?
মাকসুদা মল্লিকা: এই তো কাজের মধ্যে ভালই আছি।

উ.৭১ : বাংলাদেশে সঙ্গীতের বিভিন্ন শাখা থাকলেও আপনি লোকসঙ্গীত বেছে নিলেন কেন?
মাকসুদা মল্লিকা: আমি শৈশব থেকেই বাংলার লোকজ ঐতিহ্যকে পছন্দ করতাম। এরই ধারাবাহিকতায় ফোক সঙ্গীতের চর্চা শুরু করি।

উ.৭১ : সঙ্গীত পরিবেশন করছেন কত বছর বয়স থেকে ? কারও কাছ থেকে গুরুমুখী শিক্ষার তালিম নিয়েছেন ?
মাকসুদা মল্লিকা: আমার বাবা লোকসঙ্গীতে পারদর্শী। তাই শৈশব থেকেই গান পরিবেশন করতাম আর গুরু হিসাবে আমার বাবা মো: ওয়াজেদ আলীর কাছ থেকেই তালিম নিয়েছি।

উ.৭১ : ফোক সঙ্গীত পরিবেশনের পাশাপাশি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হিসাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আপনি কি বিশ্বাসী ?
মাকসুদা মল্লিকা: হ্যাঁ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় আমি বিশ্বাসী। তাছাড়া ১৯৭১ সালে বরিশাল বিভাগের বানারীপাড়া উপজেলায় চাখার ইউনিয়নে আমার বাবা সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলার মাটিতে রাজাকার-আলবদরা যেন পুনরায় মাথা চাড়া দিয়ে না উঠতে পারে সেজন্য আমি সারা জীবন ফোক সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে কন্ঠযুদ্ধ করে যাব। যাতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের ন্যায় দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ে ওঠে।

উ.৭১ : আপনার প্রিয় খাবার ও রং কি ?
মাকসুদা মল্লিকা: প্রিয় খাবার সাদা-ভাত, ইলিশ মাছ ভাজা ও প্রিয় রং লাল-সবুজ।

উ.৭১ : আপনার জীবনে ফোক সঙ্গীত পরিবেশনের পাশাপাশি সমাজ সেবায় কি কি সংবর্ধনা পেয়েছেন?
মাকসুদা মল্লিকা: ২০১৩ সালে ২০ ডিসেম্বর এশিয়ান জার্নালিস্ট হিউম্যান রাইটস এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশনের (এজাহিকাফ) আয়োজনে- এজাহিকাফ নেলসন ম্যান্ডেলা স্মৃতি সম্মাননা ক্রেস্ট, ২০১৪ সালের মার্চে নারী উদ্যোক্তা ও শিক্ষাঙ্গনে ভূমিকা রাখার জন্য গুণীজন এ্যাওয়ার্ড, ২০১৩ সালে মাদার তেরেসা রিসার্চ সেন্টারের উদ্যোগে- মাদার তেরেসা গোন্ড মেডেল, ২০১৪ সালে স্বদেশ বাংলা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে- ফোক সঙ্গীত শিল্পী ও নারী উদ্যোক্তা সম্মাননা , ২০১৪ সালে ২৩ জানুয়ারি কবি সুফিয়া কামাল ও ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর স্মরণ সভায়- কবি সুফিয়া কামাল এ্যাওয়ার্ড, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে এশিয়ান জার্নালিস্ট হিউম্যান রাইটস এন্ড কালচারাল ফাউন্ডেশনের আয়োজনে- আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা সম্মাননা এ্যাওর্য়াড এবং ২০১৪ সালের শেষে শেরে বাংলা সাংস্কৃতিক ঐক্যজোটের আয়োজনে- শেরে বাংলা স্মৃতি গোল্ড এ্যাওয়ার্ড প্রদান করে।

উ.৭১ : আপনার ক‘টি গানের রেকর্ড বাজারে রয়েছে?
মাকসুদা মল্লিকা: প্রখ্যাত গীতিকার সুজাউদ্দিন মুন্সির কথা ও সুরে- ভক্তিলতা , কবির সরকারের কথা ও সুরে- মনচুরা, কেল্লা বাবার প্রেমের মেলা বাজারে রয়েছে। এছাড়া স্মৃতি ভিডিও সেন্টারের পরিচালনায়- ‘প্রেমের আগুন’ ভিডিও রেকর্ডিং এর কাজ চলছে।

উ.৭১ : নতুন প্রজন্মের উদ্দেশে সঙ্গীত নিয়ে কিছু বলবেন ?
মাকসুদা মল্লিকা: নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা একটু অন্যরকম। ব্যান্ড, রক, রিমিক্স গানের প্রতি বেশি আকৃষ্ট তারা। তবে তাদেরকে বলব, সঙ্গীতকে ভালোবাসলে বাংলার লোকসঙ্গীতকে প্রথমে ভালোবাসো, কেননা আমরা সবাই স্বাধীন বাংলাদেশে বাস করি।