বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার শেরপুরে অবরোধের ৬ষ্ঠ  ও হরতালের ১ম দিনে গাড়ি ভাংচুর-অগ্নিসংযোগ ঘটনায় রবিবার রাতে শেরপুর পৌর মেয়র স্বাধীন কুন্ডু ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর মিলনসহ এজাহারভুক্ত নামীয় ৫০জনসহ অজ্ঞাতনামা ৬০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ২টি পৃথক মামলায় দায়ের করেছে থানা পুলিশ।

বগুড়ার শেরপুরে অবরোধের ৬ষ্ট দিনে এবং বিএনপি ভাইস-চেয়ারম্যান শমশের মুবিন চৌধুরীকে গ্রেতফারের প্রতিবাদে বগুড়ায় ১মদিনে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের আগের রাতে উপজেলার মহিপুর বাজারে চলন্ত ট্রাকে পেট্টোল বোমা নিক্ষেপে অগ্নি সংযোগ করাসহ কয়েকটি গাড়ি ভাংচুর করার ঘটনার সাথে জড়িত ও নির্দেশ দেয়ার অপরাধে শেরপুর থানা পুলিশ গত রবিবার রাতে ২টি পৃথক মামলা দায়ের ৬নং ও ৭নং করেছে। মামলা দুটিতে শেরপুর শহর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক পৌর মেয়র স্বাধীন কুমার কুন্ডু, উপজেলা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুর মিলন,শহর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক পৌর কাউনিন্সলর শাহাবুল করিম,উপজেলা জামায়াতে আমীর মাওঃ মানছুরুর রহমান, বিএনপি ও জামায়াত-শিবিরের এজাহারভুক্ত ৫০জন নেতাকর্মীসহ অজ্ঞাতনামা ৬০ জনের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৬(২), ২৫এর খ তৎসহ বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের করেছে থানা পুলিশ। অপরদিকে গত রবিবার সন্ধ্যায় জামায়াত নেতা শেরপুরের শুভগাছা মাদ্রাসার সুপার মাওঃ কামাল মোস্তফাকে আটক করেছে থানা পুলিশ। আটক এ নেতা গত ২০১৪ সালের ৩ নভেম্বর মাসে উপজেলার শেরুয়া বটতলা এলাকায় গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলার এজাহারভুক্ত আসামী বলে থানা পুলিশ জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আহমেদ হাশমী বলেন, অবরোধ ও হরতালে নাশকতামুলক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগ ২টি মামলা গ্রহন করা হয়েছে এবং পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে মামলার আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা চলছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
(ওএস/পিবি/জানুয়ারি ১২,২০১৫)