স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন স্বাধীনতা যুদ্ধের পর বিধ্বস্ত দেশকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান গড়ে তুলেছিলেন।

সোমবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে একাত্তরে বাঙালি জাতি যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলো। ৭ মার্চের ভাষণে পর সমস্ত জেলায়, মহকুমায় যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ে। আমি যুদ্ধে জীবন দেওয়া সবাইকে শ্রদ্ধা জানাই।

তিনি বলেন, এই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই পাকিস্তানিরা আত্মসমর্পণ করেছিলো। যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু। দুর্ভাগ্য বাঙালি জাতির যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতি বঙ্গবন্ধুকে হারায়। হারায় জাতীয় চার নেতাকে।

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আন্দোলনের নামে চলছে নাশকতা। জনগণের জানমালের নিরাপত্তায় আমরা যা করার তাই করবো। কেউ আমাদেরকে তা থেকে ফেরাতে পারবে না।

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের সমাবেশে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি নেত্রী নির্বাচনে যাননি। এটা তার রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্ত। এর খেসারত দেশের জনগণ কেন দেবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ঠেকাতে পারেননি। এক বছর পর তার মাথায় আবারো আন্দোলনের ভূত চেপে বসেছে। কিসের আন্দোলন, কিসের অবরোধ। তিনি মানুষকে পুড়িয়ে মারছেন। তার মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ থাকলে এটা করতে পারতেন না।

শেখ হাসিনা এসময় তার সরকারের নানা উন্নয়নমূলক কাজের বর্ণনা দেন।

বিএনপি জোট সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, বিএনপি এদেশে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। খালেদা জিয়াকে কমিশন দেয়া ছাড়া কোনো ব্যবসায়ী ব্যবসা করতে পারতেন না।

প্রধামনন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমানই এদেশে স্বাধীনতাবিরোধীদের রাজনীতির সুযোগ দেন। তার দেখানো পথেই বাংলাদেশে সব কুষড়যন্ত্র হয়।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্ব বোঝে না বোঝে শুধু বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া ও তার কুলাঙ্গার ছেলে। বিদেশে বসে তার কুলাঙ্গার ছেলে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা দিতে আমাদের যা যা করণীয় আমরা তাই করবো।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ ও উপ-প্রচার সম্পাদক অসীম কুমার উকিলের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সাধারণ সম্পাদক, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা মহানগরের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি শুক্কুর মাহামুদ, মহিলা লীগের সভাপতি আশরাফুন্নেছা মোশাররফ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, কৃষক লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা মো. আবু কাউসার, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তার প্রমুখ।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ১২, ২০১৫)