বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ায় দুটি ট্রাকে অগ্নিসংযোগ ও বেশ কয়েকটি গাড়ীর গ্লাস ভাংচুর করেছে হরতাল সমর্থকরা। এদিকে বগুড়া জেলা ২০ দলের আজ মঙ্গলবার হরতাল চলাকালে শহরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। সকাল থেকে রিকশা, ভ্যান, ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা, মোটরসাইকেল চলাচল করছে। হরতালে বেশীরভাগ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা ছিল। সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান খোলা থাকলেও সাধরণ মানুষের উপস্থিতি ছিল কম। সড়কপথে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে জেলা পুলিশ ও জেলা প্রশাসন। নাশকতা, ভাংচুরসহ বিভিন্ন অভিযোগে জামায়াত-বিএনপির ১৮ নেতার্কীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

বগুড়া জেলা আওমী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে দুপুরে হরতাল ও অবরোধ বিরোধী মিছিল বের হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।

বগুড়া জেলা ২০ দলের হরতাল চলাকালে আজ মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিনকে পুলিশ নাশকতার মামলায় গ্রেফতার করেছে। এ নিয়ে জেলায় ১ জামায়াত নেতা, শিবির কর্মী একজন ও ১৬ জন বিএনপির নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে।

অবরোধ ও বগুড়া জেলা ২০ দলের হরতালে সোমবার রাতে বগুড়া সদর উপজেলার এরুলিয়া নামক স্থানে বগুড়াগামী একটি মালবোঝাই ট্রাকে আগুন দেয় হরতাল ও অবরোধ সমর্থকরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভায় এবং পুলিশ ট্রাকটি উদ্ধার করে। এ ছাড়া ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে মহাসড়কে চলাচলকারি ৩ থেকে ৪টি গাড়ীর গ্লাস ভাংচুর করেছে। একই রাতে বগুড়া ঢাকা মহাসড়কের শহরের বনানীতে একটি ট্রাকে আগুন দেয় হরতাল সমর্থকরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস আগুন নিভিয়ে ফেলে এবং পুলিশ দ্রুত ঘটনা স্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।

বগুড়ার সহকারি পুলিশ সুপার গাজীউর রহমান জানান, মঙ্গলবার দুপুরে বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও চেয়ারম্যান আব্দুল মোমিনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভাংচুর নাশকতার মামলা রয়েছে। এছাড়া জেলায় জামায়াত-বিএনপির ১৮ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। শহরে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি রয়েছে স্বাভাবিক।

(এএসবি/এএস/জানুয়ারি ১৩, ২০১৫)