স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : নিষিদ্ধ হওয়ার পর পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাচ্ছেন পাকিস্তানের বোলার সাঈদ আজমল। মাঝে একবার পুনঃপরীক্ষা দিলেও পুরোপুরি উতরে যেতে পারেননি। তাই বিশ্বকাপের আগে আরও একবার পরীক্ষা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নিজের প্রস্তুতিতে সন্তুষ্ট হতে পারেননি আজমল নিজেই। বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন দল ঘোষণার আগেই। এবার চাপমুক্ত হয়ে প্রস্তুতি নিয়েছেন তিনি। আবারও মুখোমুখি হতে যাচ্ছেন পরীক্ষার। আগামী ২৪ জানুয়ারি ভারতের চেন্নাইতে বোলিং অ্যাকশনের পুনঃপরীক্ষার মুখোমুখি হবেন তিনি। এবার যদি তিনি সবুজ সংকেত পান তাহলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন। আর যদি আবারও ব্যর্থ হন তাহলে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হবেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি আইসিসির কাছে পুনঃপরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

আজমলের বোলিং অ্যাকশন শোধরাতে তার সঙ্গে বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। আজমলের পরীক্ষার বিষয়ে পাকিস্তান এনসিএ’র প্রধান কোচ মোহাম্মদ আকরাম বলেন, ‘আমরা জানি সে পুনঃপরীক্ষা দেওয়ার জন্য প্রস্তুত। আমরা সময় নিয়েছি। তার উপর চাপ দেয়নি। কারণ, আমরা চাই সে নির্ধারিত সীমার মধ্যেই বল করুক এবং আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসুক। বিশ্বকাপে সে খেলতে পারছে না, তাই বলে তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়নি। বিশ্বকাপের চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসা। ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে তার রুজি-রুটি উপার্জন করা। পাকিস্তানের কঠিন সময়ে দলকে সহায়তা করা।’ ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে আজমলের বোলিং অ্যাকশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলেন আম্পায়াররা। এরপর তিনি আইসিসির পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন। বিশ্লেষণে দেখা যায়- আজমলের কনুই নির্দিষ্টসীমা ১৫ ডিগ্রির বেশি বেঁকে যায়। সে কারণে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আইসিসি তাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ করে।

(ওএস/পি/জানুয়ারি ১৩, ২০১৫)