আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি বলেছেনবিএনপি আবার বর্তমান সরকার ও এই নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনেই নির্বাচনে আসবে।

এই সরকার ও ইসির অধীনে আর কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার ব্যাপারে বিএনপির ঘোষণা প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দীপু মনি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন।

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির বিভিন্ন অভিযোগের জবাব দিতে আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

নতুন করে উপজেলা নির্বাচন দিতে বিএনপির দাবির বিষয়ে দীপু মনি বলেন, ‘তাদের এ দাবি হাস্যকর। এ দাবিকে গুরুত্ব সহকারে নেওয়ার কোনো কারণ নেই। নির্বাচনে হয়তো বিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা ঘটেছে। তবে সার্বিকভাবে নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে।’ নির্বাচন যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেজন্য আগামী দিনে ইভিএম ব্যবহার করা যায় কি না, সেটিও খতিয়ে দেখবে সরকার।

দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে গেলে কী হতে পারে, সেটি প্রমাণ করতেই বিএনপি উপজেলা নির্বাচনে এসেছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে দীপু মনি বলেন, ‘বিএনপির অধীনে সবগুলো নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। নির্বাচনের প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনা বিএনপির মুখে মানায় না।’

গণমাধ্যমে নির্বাচনে কারচুপি, অনিয়মের প্রসঙ্গ এসেছে—বিষয়টি উল্লেখ করে মন্তব্য জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘গণমাধ্যম সম্পূর্ণরূপে স্বাধীন। তারা শুধু হাজারো কেন্দ্রের মধ্যে যে কয়টিতে অনিয়ম হয়েছে, সেগুলো তুলে ধরেছে। যা নিতান্তই কম।’

দীপু মনির দাবি, কয়েক দিন ধরে বিএনপির নেতারা দায়িত্বজ্ঞানহীনভাবে ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অচিন্তনীয় মিথ্যাচার করেছে। এ শুধু রাজনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূতই নয়, ধৃষ্টতাও বটে। এদের নির্লজ্জ মিথ্যাচারের কোনো সীমা নেই। বাচনিক নিপীড়ন ও তথ্য সন্ত্রাস বিএনপির মজ্জাগত অভ্যাস। তিনি বলেন, ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, সেদিন আর বেশি দূরে নয় যেদিন তাঁরা কৃত অপরাধের শাস্তি ভোগ করবে। লম্বা কথা বলাও বন্ধ করবে।’

সরকার পতনের লক্ষ্যে আন্দোলন বেগবান করবে বিএনপি—দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এমন হুমকি প্রসঙ্গে দীপু মনি বলেন, ‘জনগণের সঙ্গে আমরাও তাদের এই কথামালাগুলোকে তেমন গুরুত্বের সঙ্গে দেখি না। কারণ, তাদের আন্দোলন জনসম্পৃক্ততাহীন। জনগণ বিএনপি-জামায়াতিদের দুঃশাসনের রাজত্বে আর কোনো দিন ফিরে যাবে না। আশা করি তাদের শুভ চেতনা ও বোধশক্তি জাগ্রত হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা আফজাল হোসেন, ফরিদুন্নাহার লাইলী, মৃণাল কান্তি দাশ প্রমুখ।

(ওএস/এটি/ এপ্রিল ০২, ২০১৪)