বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ায় কলেজ ছাত্র আসাদুজ্জামান সোনা মিয়া হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত মনির হোসেন (১৮) পুলিশকে জানিয়েছে মোবাইল ফোন ছিনতাই করতে গিয়ে খেলোয়াড়দের হাতে ধরা পড়ে মারপিটের প্রতিশোধ নিতেই খুন হয় কলেজছাত্র সোনা মিয়া। মনি বগুড়া শহরের বাদুড়তলা তিব্বতের মোড় এলাকার কোরবান আলীর পুত্র। তাদের দেয়া তথ্যমত পুলিশ দুটি ধারালো চাকু উদ্ধার করেছে।

গ্রেফতারকৃত মনির পুলিশকে জানিয়েছে, সে এবং তার বন্ধু রাকিব বগুড়া শহরের আলতাফুন নেছা খেলার মাঠের কয়েকটি গলিতে ছিনতাই করতো। ওই মাঠে অনুশীলন করতে আসা কয়েকজন খেলোয়াড়ের কাছ থেকেও তারা মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। ঘটনার দিনে গত ১৪ জানুয়ারি ভোরে তারা খেলার মাঠের পাশে ছিনতাই করতে গেলে ইতিপূর্বে ছিনতাইয়ের শিকার খেলোয়াড়রা তাদের চিনে ফেলে। তারা ধাওয়া করে রাকিবকে মারপিট করে ছেড়ে দেয়। পরে তারা ওই খেলোয়াড়দের মারপিটের প্রতিশোধ নিতে ১৪ জানুযারি ভোরে খেলার মাঠের পশ্চিম কোণে গিয়ে অবস্থান নেয়। সোনা মিয়া নামের ওই কলেজছাত্র বাইসাইকেলযোগে মাঠে অনুশীলনের জন্য প্রবেশ করার সময় তারা ওই ছাত্রকে আটক করে মারপিটের এক পর্যায়ে চাকু দিয়ে আঘাত করলে সে মারা যায়।

বগুড়া শহর পুলিশ ফাঁড়ির কর্মকর্তা (টিএসআই) মঞ্জুরুল হক ভূঁইয়া জানান, হত্যাকান্ডের পর মনির ও রাকিব আত্মগোপন করে। তারা গাবতলী উপজেলার গজারিয়া আদর্শগ্রামে রাকিবের নানার বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতের পর সেখানে অভিযান চালিয়ে মনিরকে গ্রেফতার করা হয় এবং রাকিব পালিয়ে যায়। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে তার জবানবন্দি গ্রহণের জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুযারি ভোরে আলতাফুন নেছা খেলার মাঠে ফুটবলের অনুশীলন করতে গিয়ে খুন হন কলেজছাত্র সোনা মিয়া (২২)। নিহত সোনা মিয়া বগুড়া সরকারি শাহ সুলতান কলেজের ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র এবং গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার গড়ের হাট এলাকার আব্দুল ওয়াহেদ তালুকদারের ছেলে।

(এএসবি/পি/জানুয়ারি ১৬, ২০১৪)