কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : আগামী শ্রী পঞ্চমী তিথিতে বিদ্যার দেবী সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে কুষ্টিয়ায় প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রতিমা তৈরির শিল্পীরা।

কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়ার পুরোহিত হারাধন পান্ডে জানান, আগামী ২৪ ও ২৫ জানুয়ারি শ্রী পঞ্চমী তিথিতে সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হবে। তিথি মোতাবেক ২৪ জানুয়ারি শনিবার সকাল ১১টা ৯ মিনিট থেকে ২৫ জানুয়ারি রবিবার সকাল ৮ টা ৫২ মিনিট পর্যন্ত শ্রীপঞ্চমী তিথি। আর এ সময়ের মধ্যে পূজা করতে হবে।

এদিকে জানা গেছে, কুষ্টিয়া শহরে এ বছর প্রায় ৩শ টি সরস্বতী দেবীর প্রতিমা তৈরি করা হচ্ছে। এর মধ্যে শহরের শ্রী শ্রী গোপীনাথ জিউর মন্দিরে অসিত পাল তৈরি করছেন ১শ টি, বড়বাজার সার্ব্বজনীন পূজা মন্দিরে নিমাই পাল ১শ টি, আমলাপাড়া সার্ব্বজনীন পূজা মন্দিরে শ্যামকমল বিশ্বাস ৩২ টি, শহরের বিভিন্ন মন্দিরে প্রায় ৩শ টি এবং মিরপুর হরিতলা পুজা মন্দিরে গোবিন্দ পাল ২০ টি সরস্বতী দেবীর প্রতীমা তৈরি করছেন শিল্পীরা।

এসব শিল্পীরা ৪ সাইজে প্রতিমা তৈরি করছেন। ১১, ৯, ৭ ও ৫ পোয়া সাইজ প্রতিমা তৈরি করছেন। ১১ পোয়া প্রতিমা গুলো ১৫শ থেকে ২ হাজার টাকা, ৯ পোয়া প্রতিমা গুলো ১ হাজার থেকে ১২ শ টাকা, ৭ পোয়া প্রতিমা গুলো ৮শ থেকে ৯শ টাকা ও ৫ পোয়া সাইজ প্রতিমা গুলো ৪শ থেকে ৫শ টাকা করে বিক্রয় করা হচ্ছে। তবে এখনও প্রতিমা তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়নি। প্রাথমিক কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি রয়েছে রং তুলির কাজ।

শিল্পী অসিত পাল জানান, এ বছর চাহিদা কম রয়েছে। আমলাপাড়া মন্দিরে দেখা গেছে শিল্পী শ্যামকমল বিশ্বাস প্রতিমায় সাদা রং লাগিয়েছেন। তিনি ৩২ টি প্রতিমা তৈরী করছেন।

বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ কুষ্টিয়া সদর উপজেলা শাখার আহবায়ক সুজন কুমার কর্মকার জানান, সরস্বতী বিদ্যার দেবী। হিন্দু ধর্মালম্বীরা বিশ্বাস করে সরস্বতী দেবীর আরাধনায় দেবী তুষ্ট হলে, দেবীর আর্শিবাদে জ্ঞান-বিদ্যা লাভ করা যায়। আর এ বিশ্বাসে সরস্বতী দেবীর পূজা করা হয়। মন্দিরসহ শহরের বিভিন্ন এলাকার মোড়ে মোড়ে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরস্বতী দেবীর পূজা করা হয়ে থাকে।

তিনি আরো জানান, বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা এ দেবীর পূজা করে থাকেন। ভক্তরা দেবীর নামে উপবাস থেকে পুষ্প অঞ্জলী প্রদান করে প্রসাদ গ্রহণ করেন।

এ পূজা উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ছোট-মাঝারি তোরণ বা গেট নির্মাণ করা হয়ে থাকে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের বাড়িতে বিশেষ খাবারের আয়োজন করা হয়। সব মিলিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার সাথে সাথে উৎসব-আমেজে মেতে ওঠে।

(কেকে/এএস/জানুয়ারি ১৮, ২০১৫)