বগুড়া প্রতিনিধি : বগুড়ার ধুনটের রুদ্রবাড়ীয়া গ্রামে স্কুল শিক্ষক শহিদুল ইসলামকে (৩৫) গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে।

রোববার দিবাগত রাত ২টায় শয়নঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় তার গলায় ছুরি চালিয়ে হত্যা করা হয়। সে ওই গ্রামের আজমল হোসেন মাস্টারের ছেলে ও পীরহাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক। নিহত শহিদুলের স্বজনরা জানায়, ১মাস ১৮দিন আগে শহিদুল ইসলাম চালাপাড়া গ্রামের শাহজাহান আলীর মেয়ে সীমা খাতুনকে (২৮) বিয়ে করে। সীমা খাতুন বাটিকাবাড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। বিয়ের আগে থেকে এক ছেলে সাথে সীমা খাতুনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই ছেলেই শহিদুলকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল। রোববার রাতে প্রতিদিনের ন্যয় শহিদুল ও সীমা নিজঘরে ঘুমিয়ে পরে। সকালে ওই ঘর থেকে শহিদুলের গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। ধুনট থানার ওসি জিয়াউর রহমান বলেন, স্কুল শিক্ষক শহিদুল ইসলামের শয়ন ঘরের সিঁদ কেটে প্রবেশ করা হয়েছে। ধারালো ছুরি দিয়ে গলাকেটে তাকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য মৃতদেহ মর্গে পাঠানো হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত স্কুল শিক্ষকের স্ত্রী সীমা খাতুনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
(এসবি/পিবি/জানুয়ারি ১৯,২০১৫)