সবাই জানেন বোরিং ধরণের মানুষকে কেউ পছন্দ করেন না। কারণ তাদের সাথে সময় কাটানো অনেক কঠিন ধরণের হয়। বোরিং মানুষের সাথে কাটানো ১ টি ঘণ্টা ১ যুগের মতো মনে হয়। কিন্তু সমস্যা হলো যারা বোরিং ধরণের হন তারা নিজেরাই বুঝতে পারেন না যে তারা বোরিং। ভুক্তভোগী যারা তারাই জানেন এর যন্ত্রণা।

একটি রুটিনে জীবন সাজিয়ে নেয়া মোটেই খারাপ কিছু নয়। কিন্তু মাঝে মাঝে রুটিনের বাইরেও কিছু কাজ করতে হয় জীবনটাকে রঙিন করার জন্য। যদি তা আপনি করতে না পারেন এবং রুটিনের বাইরে বের হতে না পারেন তবে আসলেই আপনি একজন বোরিং মানুষ। যদি বুঝতে চান আপনি বোরিং মানুষ কি না তাহলে দেখে নিন আজকের এই ফিচারটি।

রুটিনের বাইরে কোনো ভাবেই না যাওয়া
সকালে ঘুম থেকে উঠা, কর্মক্ষেত্রে যাওয়া, বাসায় ফেরা, ঘুমানো এবং খাওয়া এই রুটিন তো প্রত্যেকের জীবনেই রয়েছে। এর বাইরে আপনি কি করেন? যে কোনো কিছু, জীবনটাকে রঙিন করার জন্য? নাকি শুধু এর মাঝেই থাকেন আপনি। ছুটির দিনেও বাসা থেকে বের হতে বিরক্তি লাগে। বন্ধুরা ডাকলেও না বলে দেন। এই কাজটি সবার কাছে আপনাকে একজন বোরিং মানুষ হিসেবে পরিচিত করছে। জীবন একটাই কিছুটা হলেও মজা করার প্রয়োজন রয়েছে। নিজেকে প্রশ্ন করুন তো বোরিং হয়ে বেঁচে থাকার আসলেই কি কোনো অর্থ আছে?

কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান বাদ হলে খুশি হওয়া
ধরুন অনেকদিন ধরে প্রিয়জন কিংবা বন্ধুবান্ধবের সাথে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান হয়েছে আপনার। কিন্তু হঠাৎ করেই তা বাদ হয়ে গেল। তখন কি আপনি খুশি হন? মনে মনে ভাবেন যা হয়েছে ভালোই হয়েছে, বাসায় আরামে থাকা যাবে? তাহলে আপনি অবশ্যই একজন বোরিং মানুষ। এবং সব চাইতে দুঃখজনক ব্যাপার হলো আপনি ইচ্ছা করেই নিজেকে এভাবে গুটিয়ে রাখছেন। জীবনে আসতে দিচ্ছেন না কোনো রঙ।

ঘুরতে যেতে অনীহা প্রকাশ করা
একজন স্বাভাবিক মানুষ মাত্রেই ঘোরাফেরা করতে বেশ পছন্দ করবেন। অ্যাডভেঞ্চার এবং উত্তেজনামুলক কাজে পারদর্শী না হলেও ইচ্ছা প্রকাশ করবে। কিন্তু আপনি যদি বোরিং ধরণের ঘরকুনো মানুষ হন তবে আপনি আলাদা। আপনার বন্ধুবান্ধব এবং প্রিয়জন আপনাকে নিয়ে ঘুরতে বের হবার ইচ্ছা প্রকাশ করলে আপনার অনীহা তাদের কাছে আপনার একটি বিরূপ মনোভাবের সৃষ্টি করবে। এবং আপনি পরিচিতি পাবেন একজন বোরিং মানুষ হিসেবে।

অতিরিক্ত গাম্ভীর্য প্রকাশ করা
কর্মক্ষেত্রে কিংবা কাজ সংক্রান্ত কোনো স্থানে গাম্ভীর্য ধরে রাখার প্রয়োজন থাকলেও জীবনের প্রতিটি মুহূর্তে গাম্ভীর্য ধরে রাখার কোনো কারণ নেই। আপনি যদি একটি সাধারণ মজা করাকেও সিরিয়াস ভাবে নিয়ে নেন এবং কোনো আড্ডায় বসে মুখ গোমড়া করে অন্যদের কথা শুনতে থাকেন তবে অবশ্যই আপনি একজন বোরিং মানুষ। আপনি নিজে মজা করতে পারেন না এবং মজা হিসেবে কোনো কথা নিতে পারেন না। এতে করে আপনার কাছের মানুষজন আপানে বোরিং ভেবে আপনার কাছ থেকে দূরে সরেই থাকবেন।


(অ/মে ০৭, ২০১৪)