চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি : পৌষের শুরু থেকেই অব্যাহত শৈতপ্রবাহ ও কনকনে ঠান্ডায় স্থবির হয়ে পড়েছে পাবনার চাটমোহরের জনপদ। ঠান্ডার মাত্রা বাড়ার সাথে সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত রোগ। হাসপাতালে প্রতিদিন চিকিৎসা নিচ্ছে অসংখ্য রোগী। শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়ায় ও পাশাপাশি শীতজনিত অন্যান্য রোগেও আক্রান্ত হচ্ছে তারা। গত এক সপ্তাহে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৩০ জন এবং নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ৮ জন শিশু ও বৃদ্ধ ভর্তি হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সূত্র জানায়, ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নেয়া রোগীরা হলেন, উপজেলার হান্ডিয়াল পাটিয়াতা গ্রামের জিসান (১০), বোয়াইলমারী গ্রামের জীম (১), সোগাগ (৩), মথুরাপুর গ্রামের নূরী (১৮ মাস), বেলাল (১০ মাস), সৌরভ (১৮ মাস), কাটেঙ্গা গ্রামের সেতু (২), কাটাখালী গ্রামের মুজাহিদ (১৮মাস), রাব্বি (৯ মাস), মহেষপুর গ্রামের ফাউজিয়া মহজামীল (২০ মাস), কাটেঙ্গা গ্রামের রকিব (১৮ মাস), ধরইলের তানজিলা (১৮ মাস), রেজুয়ান (৮ মাস), দাঁথিয়া কয়ড়াপাড়া গ্রামের নুরুজ্জামান (৪৫), কাতুলী গ্রামের আজিম (৭ মাস), দাঁথিয়া বাইপাশের রহিমা বেগম (৫০), নথনপুরের সুফিয়া খাতুন (৪৫), সন্তোপুরের সোবাহান (১৮ মাস), চরসেনগ্রামের মুক্তার হোসেন (৪০), ছাইকোলার সামিয়া সুলতানা (১০ মাস), তানজিদ (১), মহেলা হাটের আবির (১০), মহির (৮ মাস), নোমান (৪ মাস), বড়াইগ্রামের সোহাগ (১ মাস), হরিপুরের মাসুম (১০মাস), চরনবীনের সিয়াম (৭ মাস), সজনাই গ্রামের আব্দুল্লাহ (১১ মাস), মাহিম (১৭ মাস), নিউমোনিয়ায় আক্রান্তরা হলেন চিনাভাতকুর গ্রামের মারুফা (২মাস), ছাইকোলার মরিয়ম (৬মাস), নয়ন (২), মথুরাপুরের সিরাতুন (৯০), মূলগ্রামের মিম (১), হরিপুরের মানিক (১), করকোলা গ্রামের আলিফ হোসেন (২মাস) এবং হান্ডিয়ালের সুরতি (২)। এছাড়াও বিভিন্ন বেসরকারী ক্লিনিক ও হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহন করছে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সবিজুর রহমান জানান, শীত ও শৈতপ্রবাহের কারণে শিশু ও বৃদ্ধ রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসা দিচ্ছি। তবে তিনি শীত থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজন ছাড়া বাহিরে বের না হবার পরামর্শ দেন এবং গরম পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন।

(এসএইচএম/এএস/জানুয়ারি ২২, ২০১৫)