মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা সরকারী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক আব্দুল লতিফের বিরুদ্ধে এক ছাত্রীকে যৌন হয়ারানির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে।

ওই কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রীর পিতা এ ঘটনায় অধ্যক্ষের কাছে বৃহস্পতিবার লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগে বলা হয়েছে যে, বিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষ উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেনীর উক্ত ছাত্রী আঃ লতিফের কাছে অন্যান্যদের সাথে এক ব্যাচে প্রাইভেট পড়তো। শিক্ষক লতিফ উক্ত ছাত্রীকে নানা ভাবে উত্যক্ত করতে থাকেন। এমনকি রাতে শিক্ষকের ০১১৯৭-১৬৬৭৩০ নং মোবাইল থেকে ছাত্রীর কাছে মোবাইলে ফোন করেন। বিরক্ত হয়ে ছাত্রী ফোন বন্ধ করে লাখলে শিক্ষক ঐ ছাত্রীটির মায়ের ফোনে ফোন করে ছাত্রীর সাথে কথা বলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায় ছাত্রীকে ঐ শিক্ষকের অফিস রুমে যেয়ে নোট নিয়ে আসতে বলেন আঃ লতিফ। ছাত্রীটি দুজন সহপাঠীকে সাথে নিয়ে নোট আনতে গেলে শিক্ষক ক্ষুব্ধ হন এবং নোট না দিয়ে ফিরিয়ে দেন। পরে প্রকাশ্যে ক্লাসরুমে নানা অজুহাতে ঐ ছাত্রীকে স্কেল দিয়ে মারেন এবং কুত্তা বলে গালি দেন এমনকি ছাত্রীর সাথে যাওয়া অপর এক সহপাঠীকেও উক্ত শিক্ষক স্কেল দিয়ে মারেন এবং ইঈিত পুর্ণ ভাবে বলেন যে, সবার সব কাজ সাজেনা। শিক্ষকের আচরণে ভীত হয়ে ছাত্রীটি কলেজে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে ছাত্রীর পিতা মাগুরা জেলা আইনজীবি সমিতির সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মাহবুব মোরশেদ বাবলাকে সাথে নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে কলেজ অধ্যক্ষের কাছে অভিযোগ দাখিল করেন। এ সময় ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিজন কুমার সরকার ছাত্রীর উপযুক্ত নিরাপত্তা বিধান সহ যাথযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বিজন কুমার সরকারের সাথে মোবাইল (০১৭১৮-৬১২৬৭৬) ফোনে যোগযোগ করা হলে তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ পাওয়ার বিষয় স্বীকার করেন এবং এ ব্যাপরে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সাংবাদিকদের জানান। অভিযুক্ত শিক্ষক আঃ লতিফ এ ঘটনা অস্বীকার করে বলেছেন। ছাত্রীদের সামান্য সাশন করা হয়েছে।
(ডিসি/পিবি/জানুয়ারি ২৩,২০১৫)