স্টাফ রিপোর্টার:বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়া মারা গেছেন।

ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহে রাজিউন। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।

বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, হৃদরোগে আক্রান্ত হলে আরাফাত রহমান কোকোকে হাসপাতালে নেওয়ার পথেই ইন্তেকাল করেন তিনি। তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারের পক্ষ থেকে দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করা হয়েছে। তার মরদেহ আনা ও দাফনের বিষয়ে পারিবারিক সিদ্ধান্তের পর আপনাদের জানানো হবে।

এদিকে কোকোর মৃত্যুর খবরে এরইমধ্যে আত্বীয়-স্বজনেরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে তার গুলশানের কার্যালয়ে আসা শুরু করেছেন। আসছেন বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরাও।

এছাড়া আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের পক্ষ থেকে শোক জানানো হয়েছে। এসব শোক বার্তায় তার রুহের মাগফিরাত কামনা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়।

২০০৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুর্নীতির অভিযোগে ঢাকা সেনানিবাসের মইনুল হোসেন রোডের বাড়ি থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ও তাঁর ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে গ্রেফতার করে যৌথ বাহিনী।

এরপর ২০০৮ সালের মে মাসে মুক্তি পেয়ে চিকিৎসার জন্য থাইল্যান্ড যান তিনি। তারপর থেকে তিনি বিদেশেই অবস্থান করছিলেন। স্ত্রী ও ২ মেয়ে তার সঙ্গে বিদেশেই অবস্থান করছিলেন।

আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। একটি মামলায় তার অনুপস্থিতিতে ২০১১ সালে তার ৬ বছরের সাজাও হয়।

(ওএস/এসসি/জানুয়ারি২৪,২০১৫)