নন্দীগ্রাম(বগুড়া) প্রতিনিধি : প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে কথাটি খুবই পরিচিত। গাছ মানুষকে অক্সিজেন ও ছাঁয়া দেয়। অনেকেই গাছের নিচে বসে স্বস্তির নিশ্বাস গ্রহন করে।

আবার কখনো কখনো গাছের নিচে হাঁস-মুরগীর ডিমেরও দেখা মেলে। বগুড়ার নন্দীগ্রামে সন্ধ্যায় ঘনিয়ে এলেই স্থানীয় বাসষ্ট্যান্ডে বট গাছের নিচে শতশত মানুষের ভীড় দেখা যায়। চোখ ঘুড়িয়ে দেখা মেলে মুরগী ও হাঁসের ডিম। পৌর শহরসহ উপজেলার রনবাঘা, কুন্দারহাট, শিমলা বাজার, রুপিহার, ধুন্দার বাজার এলাকায় রয়েছে বড়বড় কড়ই ও বটগাছ। শীতের সময় সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলে ওইসব গাছের নিচে চার পদের ডিম এসে বাসা বাঁধে। সেখানে শতশত মানষের ভীড় লক্ষনীয়। পৌর এলাকার স্থানীয় বাসষ্ট্যান্ডে কড়ই গাছ ও বটগাছের নিচে শীতের সন্ধ্যায় জমে ওঠে গরম পানিতে সিদ্ধ ডিমের বাজার। ফার্ম মুরগীর লাল ডিম ১০টাকা, বাড়িতে পালন করা (দেশী) মুরগীর ডিম ১২টাকা, হাঁসের ডিম ১০টাকা ও কোয়েল পাখির ডিম প্রতি জোড়া ৫টাকায় বিক্রয় হয়। গাছের গড়ালির চারপাশ দিয়ে সিদ্ধ ডিমের বেশকটি দোকান বসে। প্রচন্ড শীতে কাঁপতে কাঁপতে এসে গরম ডিম খেতে ভীড় করে পথচারিরা। এছাড়া সকাল-সন্ধায় বাসষ্ট্যান্ডের আশপাশে গরম গরম ডিম, পিয়াজু, মাংস চপ, সবজি চপ, ফুসকা, ধনিয়া পাতার চপ, মরিচের চপ, ডাল পিয়াজু, হালিমসহ রকমারি নানা দোকান বসে। যেকারণে স্থানীয় লোকজন ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন স্থানের মানুষ ছুটে আসে ওইসব দোকানে ক্ষনিকের স্বাদ নিতে। সরেজমিনে দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা গেছে ক্রেতাদের ভীড়। অনেকেই নিজে খাচ্ছেন। আবার অনেকেই বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছেন। কথা হয় সিদ্ধ ডিমের দোকানে আসা ক্রেতা আতোয়ার হোসেন, মামুন, এনামুল, শামিম, রাজু আহমেদ, বিপুল কুমার, রাব্বি হাসান, হাকীম আব্দুল মান্নান, ডা: শিহাব, মাহবুর রহমান ও শাহাদতের সাথে। তারা জানান, গ্রীস্ম কালে প্রচন্ড গরমের দিনে গেন্ডারির(কুশার) রস ও আইসক্রিম(বরফ) খেলে শরীরে স্বস্তি ফেরে। গরমে অস্থির দেহ ঠান্ডা রাখা যায়। শীতকালে শীতের দিনে বিভিন্ন রকমারি পিয়াজু ও গরম পানিতে সিদ্ধ ডিম ভালই লাগে। শীতকালে প্রতিদিন সন্ধ্যায় বটগাছের গাছের নিচে বসে মুরগী-হাঁসের ডিম খাই। তবে গ্রীস্মকালে কোন প্রকারে সিদ্ধ ডিম পাওয়া যায়না। ক্রেতারা আরোও জানান, গ্রীস্মকালে প্রচন্ড গরমে মানুষের জীবনে স্থবিরতা নেমে আসে। অনেকেই রৌদ্রে পুড়ে ক্লান্ত হয়ে বড়বড় গাছের ছাঁয়ার নিচে আশ্রয় নেয়।

(এমএন/পিবি/জানুয়ারি ২৬,২০১৫)