স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় মানবাধিকার কমিশন পুলিশের পাশাপাশি মামলা তদন্তের ক্ষমতা চেয়েছে।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির কাছে এই ক্ষমতা চেয়েছেন কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান।

বুধবার জাতীয় সংসদের মিডিয়া সেন্টারে প্রেসব্রিফিং কমিটির সভাপতি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত মানবাধিকার কমিশনের দাবিটি তুলে ধরেন।

এর আগে সকালে জাতীয় সংসদ ভবনে কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে কমিটি সদস্যদের পাশাপাশি মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।

ব্রিফিংয়ে সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, বিভিন্ন মামলায় পুলিশের পাশাপশি মানবাধিকার কমিশনও তদন্তের ক্ষমতা চেয়েছে। শুধু মাত্র রিপোর্ট দেওয়া নয়, বিভিন্ন মামলার তদন্তের ক্ষমতা চায় তারা। তবে কমিটি তাতে রাজি হয়নি।

সুরঞ্জিত বলেন, আমরা বলেছি, আইন অনুযায়ী পুলিশ তদন্ত করবে। যদি কোনো মামলায় মানবাধিকার বিচ্যুতির ঘটনা ঘটে, তবে সে বিষয়ে কমিশন তাদের রিপোর্ট দেবে।

তিনি বলেন, কমিশন তাদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতার কথা কমিটির কাছে তুলে ধরেছে। কমিটি নির্বাচন কমিশনসহ অন্যান্য সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের মতো তাদের অর্থনেতিক স্বাধীনতা দেওয়ার সুপারিশ করেছে। এ ক্ষেত্রে থোক বরাদ্দ বা আলাদা বাজেটও করা যায়।

মানবাধিকার কমিশন কমিটির কাছে বলেছে, তাদের মাত্র ২৮ জন জনবল রয়েছে। কমিটির পক্ষ থেকে আরো ২০ জন দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে অন্যান্য কমিশনসহ মানবাধিকার কমিশনের জন্য স্থায়ী ঠিকানার সুপারিশ করেছে তারা।

একটি হাইরাইজ বিল্ডিং করে সেটাকে ‘কমিশন বিল্ডিং’ করার সুপারিশ করেছে মানবাধিকার কমিশন। এ ছাড়া প্রত্যেক জেলায় মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবিও সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তুলে ধরা হয়েছে।

কমিটি আপাতত বিভাগীয় পর্যায়ে প্রয়োজনীয় লোকবলসহ মানবাধিকার কমিশনের কার্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করেছে।

সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, চাঞ্চল্যকর ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় আগামী ৬ মাসের মধ্যে নিষ্পন্ন করার আশ্বাস দিয়েছেন আইনমন্ত্রী। এ জন্য প্রয়োজনীয় কাজ শুরু হয়ে গেছে।

সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, জাতীয় পার্টির জিয়াউল হক মৃধা এবং সফুরা বেগম।

(ওএস/এএস/জানুয়ারি ২৮, ২০১৫)