আন্তজার্তিক ডেস্ক : থাইল্যান্ডের পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার সুপারিশ করা হবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে দেশটির দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা। অভিযোগের সুপারিশ করা হলে ইংলাককে রাজনীতি থেকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে।

বৃহস্পতিবার গুরুত্বপূর্ণ এ সিদ্ধান্তটি জানানোর কথা রয়েছে।

ক্ষমতার অপব্যবহারে দায়ে সাংবিধানিক আদালতের নির্দেশে বুধবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন ইংলাক। পদত্যাগ করলেও নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে আবার তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন, অন্তত ইংলাকের সমর্থকরা এমনটিই মনে করছেন।

কিন্তু দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা দ্য ন্যাশনাল অ্যান্টি-করাপশন কমিশন (এনএসিসি) তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগের সুপারিশ করলে তাদের সেই আশা নিরাশায় পরিণত হবে। কারণ এই অভিযোগ আনা হলে পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য রাজনীতি থেকে দূরে থাকতে হবে ইংলাককে।

প্রায় একদশক ধরে থাইল্যান্ডের অভিজাত শ্রেণীর সঙ্গে ইংলাকের ভাই থাকসিন সিনাওয়াত্রার বিরোধ চলছে।
প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে ইংলাকের পদচ্যুতি সেই বিরোধে নতুন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

চালের মূল্যে ভর্তুকি দেয়া বিষয়ক ইংলাক সরকারের একটি প্রকল্পের কারণে রাষ্ট্রের কয়েক বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়। এই ঘটনায় ইংলাকের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ আনা হবে কিনা তা নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসতে যাচ্ছে এনএসিসি।

“আজ এনএসিসি’র বৈঠকে চালের প্রকল্প বিষয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইংলাক দোষী না নির্দোষ সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে,” বলেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এনএসিসি’র এক কর্মকর্তা।

ইংলাক সরকারের পদত্যাগের দাবিতে ছয়মাস ধরে দেশটির রাজধানী ব্যাংককে প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়েছে, যা কখনো কখনো রক্তপাতে গড়িয়েছে। বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ না করলেও অবশেষে সাংবিধানিক আদালতের নির্দেশে ইংলাককে ক্ষমতা ছাড়তে হল।

বিধিবহির্ভূতভাবে সাবেক নিরাপত্তা প্রধানকে পদচ্যুত করায় ইংলাকের বিরুদ্ধে সাংবিধানিক আদালতে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনে দেশটির কয়েকজন সিনেট সদস্য।

(ওএস/এটি/মে ০৮, ২০১৪)