স্টাফ রিপোর্টার, ঢাকা : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, সরকারের এ নিষ্ঠুর আচরণে আমি স্তম্ভিত। গুলশান কার্যালয়ের বিদ্যুৎ-ইন্টারনেট-ডিস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার পর তিনি এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। গুলশান কার্যালয়ের সামনে শনিবার সন্ধ্যায় খালেদা জিয়ার বরাত দিয়ে তার প্রেস সচিব মারুফ কামাল সোহেল সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

খালেদা জিয়া বলেন, বিদ্যুৎ-ইন্টারনেট-ডিস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে সরকারের নিকৃষ্ট আচরণ করেছে। এ ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানানোর ভাষা আমার নেই। আমি স্তম্ভিত। এটা নজিরবিহীন, সব ধরণের শিষ্টাচার বহির্ভূত। কোনো সভ্য সরকার এ ধরনের নিকৃষ্ট কাজ করতে পারে না। সভ্য সমাজে এ ঘটনা নজিরবিহীন।

তিনি আরও বলেন, বিনানোটিশে নাগরিক সেবা বন্ধ করে দেওয়াকে আইন পরিপন্থি দাবি করে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা মানবাধিকার ও নাগরিক অধিকারের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন।

৫ জানুয়ারি ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপের মধ্যে গত ৩ জানুয়ারি নিজের গুলশানের কার্যালয় থেকে বের হতে পুলিশের বাধা পান খালেদা। অবরুদ্ধ অবস্থা থেকে তিনি লাগাতার অবরোধের ডাক দেন।

বর্তমানে জেনারেটর দিয়ে আলো জ্বালিয়ে রাখা ওই কার্যালয়ে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুল কাইয়ুম, প্রেসসচিব মারুফ কামাল খান, বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, মাহবুব আলম ডিউ, নিরাপত্তা সমন্বয়কারী অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল আবদুল মজিদ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা রয়েছেন।

আরাফাত কোকোর দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমান মালয়েশিয়া থেকে বাবার লাশ নিয়ে আসার পর দাদির সঙ্গেই থাকছেন। পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান সিঁথি ও দুই ভাইয়ের স্ত্রী পালাক্রমে কার্যালয়ে যাচ্ছেন।

মারুফ কামাল বলেন, গতরাতে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার পর বেগম জিয়া কিশোরী দু্ই নাতনিকে নিয়ে বিনিদ্র রাত কাটিয়েছেন।

তিনি জানান, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর থেকে কার্যালয়ের ফ্যাক্স মেশিন অকার্যকর। মোবাইল সেটগুলো চার্জ দিতে না পেরে প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। ভেতরের সঙ্গে বাইরের যোগাযোগ প্রায় বিচ্ছিন্ন।

(ওএস/অ/জানুয়ারি ৩১, ২০১৫)