স্টাফ রিপোর্টার : শুরু হলো অমর একুশে বইমেলা-২০১৫। রবিবার বিকেলে মাসব্যাপি মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারের মেলায় ৩৫১টি প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। মোট স্টল রয়েছে ৫৬৫টি।

গতবারের মত এবারেরও বইমেলাও অনুষ্ঠিত হচ্ছে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং একাডেমির সমানে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে ৯২টি প্রতিষ্ঠানকে ১২৮টি ইউনিট) এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ২৫৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৪৩৭টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এবারই প্রথমবারের মতো বাংলা একাডেমিসহ মোট ১১টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে বইমেলায় প্রতিটির জন্য ৪০০ বর্গফুটের প্যাভিলিয়ন প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ১০৬টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ১টি করে ইউনিট, ৯৬টি প্রতিষ্ঠানকে ২টি ইউনিট, ৪৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৩টি ইউনিট এবং ১টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ ইউনিটের স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

বাংলা একাডেমির অভ্যন্তরীণ অংশে ৩২টি শিশু-কিশোর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ৪২টি ইউনিট, ২৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ৪৪টি ইউনিট, ১৯টি মিডিয়া ও আইটি প্রতিষ্ঠানকে ২০টি ইউনিট এবং ১৭টি অন্যান্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে ২২টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

এবার উন্মুক্ত জায়গাসহ ৭২টি লিটল ম্যাগাজিনকে বর্ধমান হাউজের দক্ষিণ পাশে লিটল ম্যাগাজিন কর্নারে জায়গা করে দেয়া হয়েছে। ক্ষুদ্র প্রকাশনা সংস্থা এবং ব্যক্তি উদ্যোগে যাঁরা বই প্রকাশ করেছেন তাঁদের বই বিক্রি ও প্রদর্শনের জন্য জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের স্টলে রাখা যাবে।

বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশিত বই ৩০% কমিশনে, ২০০০ সালের পূর্ব পর্যন্ত প্রকাশিত একাডেমির বই ৭০% কমিশনে এবং মেলায় অংশগ্রহণকারী অন্যান্য প্রতিষ্ঠান ২৫% কমিশনে বিক্রি করছে। একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মিলে বাংলা একাডেমির ৫টি বিক্রয় কেন্দ্র থাকছে। এর একটি সম্পূর্ণ সাজানো হয়েছে একাডেমি প্রকাশিত শিশু-কিশোরতোষ গ্রন্থ দিয়ে।

এবারের বইমেলায় বাংলা একাডেমি প্রকাশিত ১০০টির বেশি নতুন বই পাওয়া যাচ্ছে। বইমেলা পহেলা ফেব্রুয়ারি থেকে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছুটির দিন ব্যতীত প্রতিদিন বিকেল তিনটা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ছুটির দিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত মেলা চলবে।

(ওএস/এএস/ফেব্রুয়ারি ০১, ২০১৫)