কুষ্টিয়া প্রতিনিধি : আজ থেকে সারাদেশে এক সাথে অভিন্ন প্রশ্নপত্রে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল। বিএনপির ডাকা অবরোধ ও হরতালের কারনে আজকের পরীক্ষা আগামী  শুক্রবার অনুষ্ঠিত হবে।

পরীক্ষার সময় সূচি ও পরীক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছে কুষ্টিয়ার ৬টি উপজেলার ২০ হাজার ৭০৪ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে এসএসসি ১৬ হাজার ৭৫৯ জন, দাখিল ১ হাজার ৯৬১ জন এবং এসএসসি ভোকেশনাল পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৯৮৪ জন। এর মধ্যে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ৫টি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৪ হাজার ৫৮১ জন, কুমারখালী উপজেলার ৩টি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৭৩২ জন, খোকসা উপজেলার ২টি কেন্দ্র পরীক্ষার্থী ১ হাজার ২ শত ৫ জন, মিরপুর উপজেলার ৬টি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ২ হাজার ৬০৯ জন, ভেড়ামারা উপজেলার ৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৮২৪ জন এবং দৌলতপুর উপজেলার ৭টি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩ হাজার ৮০৮ জন। জেলায় দাখিল পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৯৬১ জন। এছাড়া জেলায় এসএসসি ভোকেশনাল কেন্দ্র ১০টি। এ কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৯৮৪ জন।
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার এসএসসি পরীক্ষার্থী শামীম রেজা জানায়, আমরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা দিতে চাই। আমরা হরতাল-অবরোধ চাই না। হরতালের কারণে আমাদের পরীক্ষা পিছিয়ে যাওয়ার ফলে আমাদের মানসিক চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। কবে, কখন পরীক্ষা হবে এই নিয়ে আমাদের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শিপন আহম্মেদ জানায়, আমরা যারা পরক্ষার্থীরা আছি তারা কেউতো বর্তমানে দেশের ভোটার নয়, নয় কোন রাজনৈতিক দলের নেতা তাহলে আমরা কেন হরতালের শিকার হবো? আমাদের কোন নিরাপত্তা নেই। পরীক্ষা পেছালে আমাদের প্রস্তুতি নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা পরীক্ষা যথা সময়ে দিতে চাই।
পরীক্ষা পেছানোর ফলে শুধু পরক্ষার্থীরায় বিপাকে পড়েনি, পড়েছে পরীক্ষাথীদের অভিভাবকেরা।
এমনই এক অভিভাবক হামিদুল ইসলাম জানান, হরতালের কারণে সব সময় একটা আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। কোন সময় কী হয় না হয় তা নিয়ে।
তিনি বলেন, আমাদের রজানীতিবিদরা কি আমাদের ছেলেমেয়েদের কথাটা একবারও ভাববেন না? গত বছর এইচএসসি আর এসএসসি দুটি পাবলিক পরীক্ষার সময় হরতাল ছিল। আর এবার তো বছরের প্রথম দিন থেকেই তা শুরু হয়েছে। জানি না মেয়াটা পরীক্ষার দিন সুষ্ট ভাবে পরীক্ষা কেন্দ্রে যেতে পারবে কিনা?
(কেকে/পিবি/ফেব্রুয়ারি ২,২০১৫)