পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরের স্বরূপকাঠিতে পিতাকে খুন করে লাশ মাটিতে পুতে রেখে পালিয়ে গেলো এক পাষন্ড ছেলে ।

এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার সুটিয়াকাঠি এলাকার মৃত হাজী তানজে আলীর ছেলে মো. আব্দুল হালিম (৭২) রবিবার মাগরিবের নামাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হয়। রাতে আত্মীয় স্বজনেরা প্রতিবেশিদের নিয়ে তাকে খুঁজতে বেরুলে মসজিদ থেকে বাড়ির পথের বিভিন্ন স্থানে ছোপ ছোপ রক্ত এবং বাড়ির কাছে মৃতের ৩য় ছেলে কায়সারের (৩০) কর্দমাক্ত ও রক্ত মাখা কাপড় দেখতে পায়।

অনেক খোঁজা খুঁজির পর সকালে স্বজনরা বাড়ির পাশ্ববর্তী একটি বাগানের মধ্যে নতুন মাটি খোঁড়া দেখতে পেয়ে সেখানে সামান্য মাটি সরালে হালিমের লাশ বেড়িয়ে আসে।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হালিমের ব্যবহৃত জ্যাকেট, চাদর, কায়সারের ব্যবহৃত, প্যান্টসহ পেট্রোল, কাঠ, শাবল, টর্চ লাইট ও হাতুড়ি উদ্ধার করে। ঘটনার পরপরই কায়সার পালাতক রয়েছে। পিরোজপুরের প্রথম শ্রেনীর ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে লাশ উত্তোলনের পর সুরতহাল করে দেখা যায় মাথার বিভিন্ন স্থানে হাতুরি পেটানো আঘাত রয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে কায়সারের ছোট ভাই রুম্মানের কিডনি জনিত রোগের কারনে পিতা আব্দুল হালিম চিকিৎসার জন্য কিছু জমি বিক্রি করেন। এতে কায়সার ক্ষিপ্ত হয়ে তার বাবাকে হত্যা করেছে বলে ধারনা হচ্ছে।

পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মো. শাহ আবিদ হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এলাকাবাসী ও পুলিশের ধারনা মাগরিবের নামাজের পর কোন এক সময় পিতাকে হত্যার পর লাশ মাটি চাপা দিয়ে কায়সার পালিয়ে গেছে। কায়সার মাদকাসক্ত ছিলো। এলাকায় তাকে পকেটমার কায়সার নামে চিনতো।

এ ঘটনা সম্পর্কে স্বরূপকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম বলেন, মাদকাসক্ত ছেলে কায়সার এ হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে। কায়সার পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
(এসএ/পিবি/ফেব্রুয়ারি ২,২০১৫)