স্পোর্টস ডেস্ক, ঢাকা : তারা দুজনই ব্রাজিলের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কাকা ও রবিনহোর তবে ফর্মে না থাকায় নিজেদের মাঠে অনুষ্ঠিতব্য বিশ্বকাপে খেলা হলো না। এই দুজন কোচ স্কলারি যে ২৩ সদস্যের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করেছেন সেখানেই নেই। এছাড়া দলে সেই অর্থে কোনো চমক নেই, কনফেডারেশনস কাপ এবং পরবর্তী সময়ে যাদের ডেকেছেন তারাই আছেন বিশ্বকাপ দলে। তবে ডাক পেয়েছেন মাইকন।

স্কলারি স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ থেকে চারজনকে বিশ্বকাপের টিকিট দিয়েছেন। চেলসি থেকেই সবচেয়ে বেশি ফুটবলার আছে ব্রাজিল দলে; ডিফেন্ডার ডেভিড লুইজ ও মাঝমাঠের অস্কার, র‌্যামিরেস ও উইলিয়ান। টটেনহাম হটস্পারে খেলা পাউলিনহোকে নিলেও একই ক্লাবের সান্দ্রোর জায়গা হয়নি। ইংলিশ লিগে খেলা আরেক খেলোয়াড়, ম্যানচেস্টার সিটির ফার্নান্দিনহোও আছেন হেক্সা জয়ের মিশনে।

বার্সেলোনার দানি আলভেস, রিয়াল মাদ্রিদের মার্সেলো ও প্যারিস সেন্ত জার্মেইর থিয়াগো সিলভাকে নিয়ে রীতিমতো জমাট রক্ষণ। বায়ার্ন মিউনিখের দান্তে, নাপোলির হেনরিকের সঙ্গে পুরনো যোদ্ধা মাইকনকেও চূড়ান্ত দলে রেখেছেন স্কলারি। ৩১ বছর বয়সে প্রথম জাতীয় দলে ডাক পেয়েছিলেন ম্যাক্সওয়েল, গত আগস্টে। এক বছরেরও কম সময়ের মাথায়, মাত্র সাতটা আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা এ লেফটব্যাকও আছেন বিশ্বকাপের দলে।

আক্রমণভাগটা স্কলারির একদম নিজের পছন্দে গড়া। জো এবং ফ্রেদ, দুজনের কেউই হয়তো ক্লাব পর্যায়ে দারুণ কিছু করে দেখাতে পারেননি, তবে জাতীয় দলে তারা স্কলারির প্রিয়পাত্র। চতুর, সুযোগসন্ধানী এবং নিশানাবাজ, আর কি চাই একজন স্ট্রাইকারের মধ্যে? জেনিত সেন্ত পিটার্সবার্গ মোটা টাকা দিয়েছিল হাল্কের জন্য, সেটা এমনি নয়। কনফেডারেশনস কাপে সবগুলো ম্যাচেই খেলেছেন এই রাইট উইঙ্গার, জাতীয় দলে গোলও করেছেন আটটি। সব মিলিয়ে স্কলারির আস্থা তাদের ওপরই। আর বাকি থাকল নেইমারের নামটা। বার্সেলোনায় গিয়ে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন, খেলার ধরনের সঙ্গে ক্লাবের ধাঁচটা মিলছে না, চোট সারার প্রার্থনায় গোটা দেশবাসীÑএমন অনেক কথাই যদিও বলা হচ্ছে তাকে নিয়ে! তবু নেইমারই যে স্কলারির তুরুপের তাস, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ফিট থাকা নেইমারের ধারটা তো কনফেডারেশনস কাপেই দেখেছে সবাই!

স্কলারি গোলরক্ষক হিসেবে হুলিও সিজারকেই রেখেছেন। রিজার্ভ গোলরক্ষক জেফারসন। তৃতীয় গোলরক্ষক হিসেবে অ্যাতলেতিকো মিনোইরোর ভিক্তর। ফুলব্যাক হিসেবে দানি আলভেস ডানে আর মার্সেলো বাঁয়ে, বিনা প্রশ্নে প্রথম পছন্দ তাঁরাই। বদলি হিসেবে মাইকনকেই চূড়ান্ত করেছেন ‘ফিলিপাও’ লেফটব্যাক মার্সেলোর বদলি পিএসজির ম্যাক্সওয়েল। সেন্টারব্যাকে মূল একাদশে অবশ্যই অধিনায়ক থিয়াগো সিলভা ও ডেভিড লুইজ, বাঁ পায়ের খেলোয়াড় দান্তে থাকবেন বদলি হিসেবে। আছেন নাপোলির সেন্টারব্যাক হেনরিকেও।

মাঝমাঠে লুইস গুস্তাভো, পাশে থাকবেন পাউলিনহো, যার কাজ হবে বলটা খানিক এগিয়েও দেওয়া। র‌্যামিরেস স্কলারির ৪-২-৩-১ ছকে ঠিক মানানসই না, তাই কনফেডারেশনস কাপে দলে ছিলেন না তিনি। তবে আছেন বিশ্বকাপের দলে। সে ক্ষেত্রে কখনো হাল্ককে বসিয়ে ছকটা করা হবে ৪-৩-৩।

ব্রাজিল দল :

গোলরক্ষক : হুলিও সিজার (টরেন্টো এফসি), জেফারসন (বোতাফোগো), ভিক্তর (অ্যাতলেতিকো মিনেইরো)

রক্ষণ : দান্তে (বায়ার্ন মিউনিখ), ডেভিড লুইজ (চেলসি), হেনরিকে (নাপোলি), থিয়াগো সিলভা (পিএসজি), দানি আলভেস (বার্সেলোনা), মাইকন (রোমা), মার্সেলো (রিয়াল মাদ্রিদ), ম্যাক্সওয়েল (পিএসজি)।

মাঝমাঠ : ফার্নান্দিনহো (ম্যানসিটি), হেরনানেস (ইন্টার মিলান), লুইজ গুস্তাভো (উলফসবুর্গ), অস্কার (চেলসি), পাউলিনহো (টটেনহাম), র‌্যামিরেস (চেলসি), উইলিয়ান (চেলসি)

ফরোয়ার্ড : বের্নার্ড (শাখতার দনেৎস্ক), ফ্রেদ (ফ্লুমিনেন্সে), হাল্ক (জেনিত), জো (অ্যাতলেতিকো মিনেইরো), নেইমার (বার্সেলোনা)

(ওএস/পি/মে ০৮,২০১৪)