নন্দীগ্রাম(বগুড়া) প্রতিনিধি : কৃষি নির্ভর ও শস্য ভান্ডার হিসেবে খ্যাত বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ইরি-বোরো ধানের চাষ পুরোদমে শুরু হয়েছে। চারা রোপন কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। চাষাবাদ নিয়ে কৃষক পরিবারের সদস্যরা এখন মহাব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন।

আমন ধানের বাম্পার ফলনের পর ইরি-বোরো চাষে কৃষকেরা কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন। চলমান টানা হরতাল অবরোধে সার ও তেলের কোন সংকট নেই। দামও বৃদ্ধি পায়নি বলে জানিয়েছেন কৃষকেরা। এলাকাঘুরে দেখা গেছে, চাষাবাদী জমি তৈরী ও সঠিকভাবে সেচসহ চাঁরা রোপনের কাজ করছেন কৃষকেরা। আলু ও সরিষা জমি ব্যতিত পুরো উপজেলায় দু-চার দিনের মধ্যে চাঁরা রোপন কাজ শেষ হবে। ইতিমধ্যে উপজেলার বেশকিছু মাঠে চাঁরা রোপন শেষ হয়েছে। কৃষকেরা জানিয়েছেন, গতবারের চেয়ে এবার দ্বিগুণ চাষিরা ইরি-বোরো চাষে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে। অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও ইরি-বোরোর পুরো মৌসুমে সার ও সেচ কাজের জন্য সঠিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলে চলতি এই মৌসুমেও বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষকেরা। কৃষক মজিবুর রহমান, কলি মিয়া, ফজলুর রহমান, এনামুল হক, আমজাদ আলী, সাইদুল ইসলাম, শাহাদত হোসেন মিঠু, মাসুদ রানা, রাজু আহম্মেদ বলেন, বিদ্যুতের ভেলকিবাজি খেলা কিংবা ঘন-ঘন লোডশেডিং যদি না থাকে তাহলে আশানানুরূপ ফলন উৎপাদন করা সম্ভব। যেভাবে হরতাল অবরোধ চলছে। তারপরেও তেল ও সারের দাম বাড়েনি। উপজেলা কৃষি অফিসার মুহাম্মদ মুশিদুল হক জানান, চলতি মৌসুমে একটি পৌরসভাসহ উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়নের ২১হাজার ৪৫১হেক্টর জমিতে ইরি-বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১লাখ ২৪হাজার, ৬২১মেট্রিকটন ধান। এসব জমিতে পানি সেচের জন্য বিদ্যুৎ চালিত ৩৪৭টি গভীর নলকূপ, ৬৯০টি অগভীর নলকূপ, ডিজেল চালিত ২৮টি গভীর ও ৩ হাজার অগভীর নলকূপ সেচ কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইরি-বোরো ধানের চাঁরা রোপন কাজ শেষ পর্যায়ে। তবে যেসকল জমিতে আলু ও সরিষা চাষ করা হয়েছে সেগুলো জমিতে চাঁরা রোপন কিছুটা বিলম্ব হবে।
(এনআই/পিবি/ফেব্রুয়ারি ৪,২০১৫)