বাগেরহাট প্রতিনিধি : দেশের দ্বিতীয় আধ্যাতিক রাজধানী  বাগেরহাট শহরতলীতে হযরত খানজাহানের (র:) মাজার দীঘিতে তাঁর আমল থেকে কালা পাহাড়-ধলা পাহাড় নামেন বংশ পরাম্পর দাঁপিয়ে বেড়ানো শেষ কুমিরটির লাশ বৃহস্পতিবার সকালে উদ্ধার করেছে। মৃত কুমিরটি ধলা পাহাড় ( মাদি ) বলে জানান, মাজার শরীফের প্রধান খাদেম শের আলী ফকির। মৃত কুমিরটি বয়স শত বছরের অধিক বলে বাগেরহাট জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: সুখেন্দু শেখর গাইন নিশ্চিত করেছেন। তবে কি কারণে  ৯ফুট লম্বা ও ৬ফুট চওড়া এই মিঠা পানির কুমিরটি (মার্শ কোকোডাইল) মারা গেছে তা ময়না তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব বলে তিনি জানান। বাগেরহাটে খানজাহানের মাজার দীঘির কুমির ধলা পাহাড় মারা গেছে সকালে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে শুরু হয় তোলপাড়। হযরত খানজাহানের মুরিদ-ভক্ত-আশেকানসহ হাজার- হাজার মানুষ ছুটে যান মাজার শরীফে। শত-শত নারী-পুরুষ ও শিশুরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কুমির ধলা পাহাড়ের মৃত্যুতে সকাল থেকে মাজার শরীফে স্বজন হারানো পরিবেশের সৃষ্টি হয়। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মো: জাহাংগীর আলমের নির্দেশে কুমির ধলা পাহাড়ের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করেছে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: সুখেন্দু শেখর গাইনসহ চারজন প্রাণী বিশেষজ্ঞ। এরমধ্য দিয়ে হযরত খানজাহানের আমল থেকে মাজার দীঘিতে প্রায় সাড়ে পাঁচশ’ বছর ধরে বসবাস করে আসা কালা পাহাড়- ধলা পাহাড়ের শেষ বংশধরের মৃত্যু হলো। আবসান হলো খানজাহানের মাজার দীঘির কুমির কালা পাহাড়-ধলা পাহাড় অধ্যায়ের।

খানজাহানের মাজার শরীফের প্রধান খাদেম শের আলী ফকির জানান, সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মাজারের খাদেম মোবারক আলী ফকির দীঘির উত্তর পাশের পানিতে কুমির ধলা পাহাড়ের মৃত দেহ ভাসতে দেখে। তার ডাক চিৎকারে মুর্হুতের মধ্যে লোকজন ছুটে আসে। দ্রুত খবর দেয়া হয় জেলা প্রশাসন, প্রাণী সম্পদ ও সুন্দরবন বিভাগকে। তারা এস মাজার দীঘি থেকে ধলা পাহাড়ের লাশ উদ্ধার করে। খানজাহানের মাজার দীঘির কুমির ধলা পাহাড় মারা গেছে সকালে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে মুরিদ-ভক্ত-আশেকানসহ হাজার- হাজার মানুষ ছুটে যান মাজার শরীফে। শত-শত নারী-পুরুষ ও শিশুরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। কুমির ধলা পাহাড়ের মৃত্যুতে সকাল থেকে মাজার শরীফে স্বজন হারানো পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

মাজারের প্রধান খাদেম আরও জানান, প্রতিদিন দেশ-বিদেশের হাজার-হাজার মুরিদ-ভক্ত-আশেকান ও পর্যটক মাজার শরীফ জিযারত ও মাজার দীঘির এসব কুমির দেখাসহ মানত দিতে এখানে আসেন। হযরত খানজাহানের আমল থেকে বংশ পরাম্পর দীঘিতে বসবাস করা কুমির কালা পাহাড়-ধলা পাহাড় নিয়ে রয়েছে অনেক কিংবদন্তি ইতিহাস। মাজারের খাদেমরা ধারনা করছেন, শতবর্ষী এই কুমিরটির স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্য দিয়ে হযরত খানজাহানের আমল থেকে মাজার দীঘিতে বসবাস করে আসা কালা পাহাড়- ধলা পাহাড়ের শেষ বংশধরের মৃত্যু হলো । আবশান হলো খানজাহানের মাজার দীঘির কুমির কালা পাহাড়-ধলা পাহাড় অধ্যায়ের। এখন আর মাজার দীঘিতে মাত্র ২টি মিঠা পানির কুমির রয়েছে। তাও আবার ২০০৬ সালে ভারেতের মাদ্রাস থেকে এনে দীঘিতে ছাড়া হয়।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক ও মাজার শরীফ ব্যাবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো: জাহাংগীর আলম জানান, মাজার দীঘির কুমির মরে ভেসে রয়েছে, সকালে এমন খবর পাওয়ার পর প্রশাসনের কর্মকর্তারা সেখানে ছুঠে য়ান। তিনি কুমিরটির মৃত্যুর কারণ অনুন্ধান ও ময়না তদন্তের জন্য জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে প্রধান করে চারজন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা দিয়েছেন।


বাগেরহাট জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: সুখেন্দু শেখর গাইন জানান, মৃত কুমিরটি ৯ফুট লম্বা ও ৬ফুট চওড়া। শত বছরের অধিক বযসের এই মিঠা পানির কুমিরটি (মার্শ কোকোডাইল) কিভাবে মারা গেছে তা ময়না তদন্ত ছাড়া বলা সম্ভব নয়। দুপুরে মৃত কুমির ধলা পাহাড়ের ময়না তদন্ত শেষ হয়েছে। কুমিরটির ভিসেরা সংগ্রহ করে তা প্রাণী সম্পদ বিভাগের গাজিপুর বঙ্গবন্ধু সাফারী পার্কের কেন্দ্রীয় গবেষণাগারে পাঠান হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কুমিরটির চামড়াসহ মাথা ও দাঁত বাগেরহাটের ষাটগুম্বজে প্রত্নতত্ত ও জাদুঘর বিভাগকে দেয়া হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট আসতে কয়েক মাস সময় লাগবে জানান জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকতা।


(একে/পিবি/ফেব্রুয়ারি ৫,২০১৫)