রাজশাহী প্রতিনিধি : এবার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভুল গ্রুপের রক্ত দেয়ায় সোহেল রানা (৩৫) নামের এক যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে হাসপাতালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

সোহেল রানা নগরীর সাগরপাড়া-বেলদারপাড়া এলাকার নাসির উদ্দিনের ছেলে। এ ঘটনায় রোগীর স্বজনদের রোষানলে পড়ে কর্তব্যরত ইন্টার্নি ডাক্তাররা ওয়ার্ড ছেড়ে পালিয়ে যান।

মৃত সোহেল রানার বড় ভাই আমিনুল ইসলাম জানান, অসুস্থ সোহেল রানাকে বৃহস্পতিবার সকালে রামেক হাসপাতালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। রোগীর রক্ত প্রয়োজন হলে চিকিৎসকরা রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করে ‘ও’ পজেটিভ রক্ত আনার জন্য হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে পাঠায়।

ব্লাড ব্যাংক থেকে ‘ও’ পজেটিভ রক্তের পরিবর্তে ‘এ’ পজেটিভ রক্ত সরবরাহ করা হয়। রোগীর স্বজনরা ওই রক্ত এনে ওয়ার্ডে কর্তব্যরত ইন্টার্নি ডাক্তারকে দিলে ডাক্তার রক্তের গ্রুপ না দেখেই সোহেল রানার শরীরে রক্ত পুশ করেন। ভুল গ্রুপের রক্ত শরীরে প্রবেশ করার পর থেকেই রোগীর মধ্যে অস্থিরতা দেখা দেয়। রক্ত দেয়া শেষ হবার পর কিছুক্ষণ পরই রোগী মারা যায়।

যোগাযোগ করা হলে হাসপাতালের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইনচার্জ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. মাহবুবুর রহমান খান বাদশাহ বলেন, হাসপাতালে ভর্তির সময় ওই রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন ছিলো। তার বমি ও পায়খানার সাথে রক্ত যাচ্ছিল। পাশাপাশি রোগীর ইন্টারন্যাল ব্লিডিংও হচ্ছিল। চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে তার অবস্থার উন্নতির জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে। ভুল গ্রুপের রক্ত পুশের কারণে রোগীর বিষয়টি সত্য নয় বলে তিনি দাবি করেন।

গত রাত ১০টার দিকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন জানান, বিষয়টি তার জানা নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

(ওএস/এইচআর/মে ০৯, ২০১৪)