টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : জেলার ভূঞাপুরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর গরুর হাট গোবিন্দাসী এলাকার জিগাতলা যমুনা নদীর চর থেকে বৃহস্পতিবার রাতে ২৬টি ও শুক্রবার বিকালে আরো ১১টি মোট ৩৭ টি চোরাই গরু উদ্ধার করেছে ভূঞাপুর থানা পুলিশ। তবে এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।

ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মো. তোফাজ্জল হোসেন জানান, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার কৈষ্টিয়া চরের বাথান থেকে গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ৪০টি গরু চুরি হয়। ঘটনার পরের দিন গরুর মালিক রঞ্জিত কুমার ঘোষ সারিয়াকান্দি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

চুরি যাওয়া গরুগুলো ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী গরুর হাটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মর্মে সারিয়াকান্দি থানার ওসি মো. ওয়াহেদুজ্জামান বিষয়টি ভূঞাপুর থানার ওসি মো. আনোয়ারুল ইসলামকে অবহিত করেন।

পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল গোবিন্দাসী এলাকার জিগাতলা যমুনা নদীর চর থেকে বৃহস্পতিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে অভিযান চালিয়ে ছোট-বড় ২৬টি গরু উদ্ধার করে। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যায়। উদ্ধারকৃত ২৬টি গরু গোবিন্দাসীর নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে রাখা হয়।

এদিকে শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরো ১১টি চোরাই গরু উদ্ধার করা হয়। চোরাই গরু উদ্ধারের বিষয়টি সারিয়াকান্দি থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে ওই থানার এসআই নয়ন কুমার ও গরুর মালিক রঞ্জিত কুমার ঘোষ গোবিন্দাসী নৌ-পুলিশ ফাঁড়িতে এসে গরুগুলো সনাক্ত করেন এবং সিজার লিস্ট করে তা বুঝে নেন।

চুরি যাওয়া ৪০টি গরুর মধ্যে ৩৭টি গরু বুঝে পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.ওয়াহেদুজ্জামান।

গরু চরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে সূত্র জানায়, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর ভূঞাপুরের গোবিন্দাসী গরুর হাটকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন যাবত একটি সংঘবদ্ধ গরুচোর চক্র সক্রিয় রয়েছে। এ চক্রের সদস্যরা গরু ব্যবসায়ীদের সাথে আঁতাত করে কম মূল্যে চোরাই গরু বিক্রি করে থাকে।

(ওএস/এটিআর/ফেব্রুয়ারি ০৬, ২০১৫)