ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহ কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ চিনিকলের পরিবহন বিভাগ (গ্যারেজ শাখা) থেকে কোন কাজ না করেই ভুয়া বিল করে প্রায় অর্ধ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এক কর্মকর্তা।

প্রতি বছর আখ মাড়াই মৌসুমে এই বিভাগে কোন প্রকার কাজ না করেই ট্রাক ও টলি মেরামত এবং যন্ত্রাংশ ক্রয় দেখিয়ে কাগজে কলমে লাখ লাখ টাকার ভুয়া বিল উত্তোলন করে থাকে কতিপয় অসত কর্মকর্তা। সম্প্রতি মিলের দুটি ট্রাকের মেরামত দেখিয়ে ভুয়া বিলের মাধ্যমে ৪৩ হাজার টাকা পকেটস্থ করেছে গ্যারেজ ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান লোকসানী এই চিনি শিল্প প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ চিন্তা করে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ দেলোয়ার হোসেন সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও চিনি শিল্প কর্পোরেশনের নির্দেশে সাশ্রয়নীতি সহ বিভিন্ন বিভাগে ব্যয় হ্রাসের মাধ্যমে মিলটিকে লাভ জনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে কাজ করে যাচ্ছেন। ঠিক তখনি মিলের পরিবহন বিভাগের রাঘব বোয়ালরা পাল্লা দিয়ে নিত্য নতুন পন্থায় ভুয়া বিল ভাউচার করে লাখ লাখ টাকা দূর্ণীতির করে সহস্রাধিক শ্রমিক-কর্মচারীর রুটি রুজির প্রতিষ্ঠান চিনি কলটি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যাচ্ছে।গত ০২/০২/২০১৫ ইং তারিখে গ্যারেজ ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান মিলের আখসহ অন্যান্য মালামাল পরিবহন কাজে ব্যবহৃত যশোর-ট-১০১৯ এবং যশোর-ট-৯৪৪ নং দুটি ট্রাকের খুচরা যন্ত্রাংশ ক্রয় ও মেরামত কাজ দেখিয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপ” কালীগঞ্জ ঝিনাইদহ নামীয় প্রতিষ্ঠানের নামে ৪৩ হাজার টাকার একটি ভুয়া বিল উত্তোলন করে পকেটস্থ করেছে। (যার গেটপাশ চালান নং- ১১৪৪ এবং ডেলিভারি চালান নং- মোচিক/পরি/গ্যারেজ-৩৯/১৩-১৪/৪৭,তাং- ০৪/১১/২০১৪)। এমনকি কোন বড় ধরনের মেরামত কাজ করা হয়নি। চিনি কলের হিসাব বিভাগে কর্মরত একব্যক্তি জানায়, মেসার্স তরুন ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসপের নামে প্রতি মৌসুমে লাখ লাখ টাকার মেরামতি কাজের বিল উত্তোলন করা হয়। যার মধ্যে বেশির ভাগই কাজ না করে বিল দাখিল করা হয়। সাধারণ শ্রমিক কর্মচারীদের অভিযোগ এসমস্ত ঘটনার মূল নায়ক দূর্ণীতিবাজ গ্যারেজ ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান। উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত হলে এই সমস্ত ভুয়া বিল আত্মসাতের ঘটনা ধরা পড়বে। গ্যারেজ ইঞ্জিনিয়ার কামরুজ্জামান গাড়ি মেরামতের কথা অস্বীকার করলে ও চালান, গেট পাশ এবং টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এঘটনা নিয়ে চিনি কলে চলছে কয়েকদিন ধরে তোলপাড়। এ ব্যাপারে গ্যারেজ ইঞ্জিনিয়ারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনাটি অস্বীকার করে বলেন, প্রতি বছর পুরাতন কিছু যন্ত্রাংশ মেরামত করে কাজ করা হয়।
(যেআর/পিবি/ফেব্রুয়ারি ৭,২০১৫)